রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতে চাইছে শ্রীলংকা

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
পরিস্থিতি ভয়াবহ। শ্রীলংকার বন্দরের কাছে অপেক্ষা করে আছে তেলভর্তি জাহাজ। কিন্তু হাতে অর্থ নেই। তাই জাহাজ থেকে তেল আনা যাচ্ছে না। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে জানিয়েছেন, হাতে মাত্র এক দিনের তেল মজুত আছে। রাজধানী কলম্বোসহ দেশের শহরগুলোতে পেট্রোল পাম্পের সামনে সোমবার লম্বা লাইন ছিল। বিশেষ করে অটোরিকশার। শ্রীলংকা শহরের ভেতর যাতায়াতের প্রধান বাহন হলো এই অটোরিকশা। সংবাদসূত্র : এপি, এএফপি, রয়টার্স দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সোমবার টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, 'আরও ভয়াবহ দিন আসছে। আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আমি সত্য গোপন করতে চাই না। অপ্রিয় ও ভয় পাওয়ার মতো পরিস্থিতি যে আসছে, তা আগাম জানিয়ে দিতে চাই।' বিক্রমাসিংহে বলেন, অবিলম্বে সাত কোটি ৫০ লাখ ডলার চাই। না হলে ওষুধসহ অত্যন্ত জরুরি জিনিসের আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ছিল ৭৫০ কোটি ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ডলারে। গ্যাস আমদানির জন্য ৫০ লাখ ডলার জোগাড় করতে অর্থ মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি উত্তরণে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করে দিতে চাইছে শ্রীলংকা সরকার। চলমান অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, নতুন সরকার 'শ্রীলংকান এয়ারলাইনস'কে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য কাগজের মুদ্রা ছাপতে যাচ্ছে দেশটি। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দ্বীপ দেশ শ্রীলংকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত তলানিতে নেমে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ। ফলে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করা যাচ্ছে না। খাবারে টান পড়েছে। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী দিনগুলোতে সেই সমস্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিক্রমাসিংহে। এদিকে, গত সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সহিংসতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং দেশের অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করার পর প্রথমবার বসেছে শ্রীলংকার পার্লামেন্ট। ঘটনাবহুল অনেকগুলো দিন পেরিয়ে মঙ্গলবার আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের অধিবেশনে মিলিত হন।