চলতি বছরের শেষে চাকরি ছাড়বেন কেলি : ট্রাম্প

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জন কেলি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার চিফ অব স্টাফ জন কেলি চলতি বছরের শেষেই চাকরি ছেড়ে দেবেন। শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে ফিলাডেলফিয়া যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প একথা জানান। হোয়াইট হাউসের পরবতীর্ চিফ অব স্টাফের নাম দুই-একদিনের মধ্যেই জানাবেন এবং তাকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরেই খবর শোনা যাচ্ছিল, জন কেলিকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী-প্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পকর্ বেশ খারাপ যাচ্ছে। এমন কি, দুইজনের মধ্যে কথা বলাও বন্ধ। পযের্বক্ষকদের ধারণা, কেলির পদত্যাগ ‘ওয়েস্ট উইং’ বা ট্রাম্প প্রশাসনকে নতুন করে ঝঁাকুনি দিতে পারে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টাসর্ গত বছরের ২৯ জুলাই হোয়াইট হাউসের প্রধান কমর্কতার্ হিসেবে জন কেলিকে নিয়োগ দেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রেইনস প্রিবাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। সে সময় ধারাবাহিক কিছু টুইট বাতার্য় কেলির প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তাকে ‘মহান আমেরিকান’ ও ‘মহান নেতা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। অথচ এখন তাকে সরে যেতে হচ্ছে। ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ হওয়ার আগে কেলি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপাটের্মন্টের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কেলির সঙ্গে প্রায়ই বিবাদে জড়িয়ে পড়ছিলেন। কেলিকে ‘চমৎকার লোক’ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী দুই/এক দিনের মধ্যে তার স্থানে নতুন কারও নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে জন কেলি আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি তার সেবার প্রশংসা না করে পারছি না।’ জন কেলি যখন ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব নেন, তখন ট্রাম্প প্রশাসন তথ্যপাচার ও নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে সময় পার করছিল। তিনি সেখানে শৃঙ্খলা আনার প্রতিশ্রæতি দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কেলি তার দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু সাফল্যের দাবি করেন। তবে তথ্যপাচার কখনোই পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ট্রাম্প তার মেয়াদের প্রথম বছরেই চিফ অব স্টাফ বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন। নভেম্বরের মধ্যবতীর্ নিবার্চনে পালাের্মন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের শোচনীয় পরাজয়ের পর মন্ত্রিসভা ও হোয়াইট হাউসে অদল-বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই কেলির পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। হোয়াইট হাউসের এক কমর্কতার্ জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের শীষর্ সহযোগী নিক আয়াসের্ক তার চিফ অব স্টাফ করার জন্য কয়েক মাস ধরেই তার সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। ওই কমর্কতার্ জানান, দায়িত্ব গ্রহণের শতার্বলি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও আয়াসর্ এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসে চাকরি সবসময়ই কঠিন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ কমর্কতাের্দর চাকরি যাওয়ার গতি খুবই বেশি। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দুইবার, গণসংযোগ পরিচালক চারবার পরিবতর্ন করেছেন। এ ছাড়া, চিফ অব স্টাফও এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পরিবতর্ন করা হচ্ছে।