সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শেষ পযাের্য় দামেস্কে খুলছে পানশালা

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দামেস্কে সোমার হাজিমের পানশালা
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর বন্ধই হয়ে গিয়েছিল দেশটির পযর্টন শিল্প। ফলে অন্য অনেকের মতোই ব্যবসা গুটিয়ে যায় সোমার হাজিমের। তিনি তখন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার ‘বুটিক হোটেল’। এরপর লাখ লাখ মানুষ যখন দেশ ছেড়ে বঁাচলো, তখনো সব হারানো সোমার থাকলেন দেশেই। সাত বছরের মাথায় এসে পরিস্থিতি পাল্টেছে। রাজধানী দামেস্ক এখন পুরোপুরি সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। শহরের পুরনো অংশে সোমার হাজিম শুরু করেছেন পানশালা, যেটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শুরু হওয়া প্রথম পানশালা। যদিও বিশ্ব র?্যাংকিংয়ে দামেস্ক বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর। তারপরও সোমার বলছেন, এখানেও এখন নৈশজীবন দারুণ আকষর্ণীয়। সোমার স্বীকার করেন, ২০১৫ সালে তিনি যখন ঝুঁকি নিয়ে পানশালার যাত্রা শুরু করেন, সেটি ছিল ব্যবসা শুরুর জন্য সত্যিই কঠিন সময়। তিনি বলেন, অনেকেই আসত জায়গাটি দেখতে যে, কে এই যুদ্ধের মধ্যে এটি বানালো। এবারের গ্রীষ্মে রাশিয়ানদের সহযোগিতায় সিরিয়া সরকার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আর এই স্থিতাবস্থাই দামেস্ককে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলছে, বিশেষ করে নৈশজীবন ক্রমশই প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। সোমার জানান, ‘শুরুর দিকে এ ধরনের পানশালা ৩/৪টি ছিল। আর এখন আপনি অন্তত ৩০টি খুঁজে পাবেন।’ রাজধানীর জীবনে স্বাভাবিকতাও ফিরে আসতে শুরু করেছে। যদিও সিরিয়া যুদ্ধ এখনো একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। জাতিসংঘের ধারণা, এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার কথিত আইএস জঙ্গি আছে সিরিয়া ও ইরাকে। তারপরেও আশাবাদী সোমার হাজিম। তার মতে, ‘এটি যদিও সেই আগের দামেস্ক নয়, কিন্তু আমি মনে করি, এটি আরেকটি শহর হতে চলেছে।’ তার আশা, একদিন তার বুটিক হোটেলটিও আবার চালু হবে, জমজমাট হবে দেশটির পযর্টন। তার মতে, হয়তো সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও সেরা সময় সামনে বলেই তার বিশ্বাস। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ