যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব হারাতে পারেন থেরেসা মে

জ্জ সবর্স্ব দিয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে তার দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হতে পারে। বুধবার থেরেসার নেতৃত্বের বিষয়ে তাদের দলের এমপিদের এক ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে তিনি ‘অনাস্থা’র মুখে পড়তে পারেন বলে প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে গেলে মে’কে প্রধানমন্ত্রীর পদও হারাতে হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে কনজারভেটিভ পাটির্র এমপিরা এ ভোট দেবেন। কনজারভেটিভ পাটির্র গঠনতন্ত্র অনুসারে, কারও নেতৃত্ব নিয়ে ভোটের আয়োজন করতে হলে কমপক্ষে ৪৮টি চিঠির প্রয়োজন হয়। মঙ্গলবার সে সংখ্যক চিঠি দেয়ার পর এ ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট প্রশ্নে যুক্তরাজ্যে গণভোটের পর দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত হন থেরেসা মে। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে তার প্রস্তাবে নাখোশ ছিলেন দলের অনেক নেতাই। এরই মধ্যে তার কয়েকজন মন্ত্রী এ বিষয়ে মনোমালিন্যে পদত্যাগ করেছেন। কনজারভেটিভ পাটির্র সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানান, মে’র নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোট আয়োজনে প্রয়োজনীয় ৪৮ টোরি আইনপ্রণেতার চিঠি পেয়েছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি কনজারভেটিভ দলপ্রধানেরও দায়িত্ব নিয়েছিলেন মে। আগাম নিবার্চনে বড় ধরনের পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়েও বেশ চাপে আছেন এ নারী। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার পর যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন, তা দলের ভেতরেই তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নেতৃত্বের পরীক্ষায় মে উৎরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী আগামী এক বছর দলে তার বিরুদ্ধে কোনো অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। কিন্তু বুধবারের ভোটে হেরে গেলে কনজারভেটিভ পাটিের্ক নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে হবে। আস্থা ভোটে অল্প ব্যবধানে জিতলেও মে পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা পযের্বক্ষকদের। দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও টোরিরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পযর্ন্ত প্রধানমন্ত্রী পদেই থাকতে পারবেন মে। নতুন নেতৃত্ব ঠিক করতে কনজারভেটিভদের ছয় সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান ব্র্যাডি বলেন, ‘আমরা দলের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি। অবশ্যই উত্তরসূরি নিবাির্চত হওয়ার আগ পযর্ন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকছেন।’ ব্রেক্সিট নিয়ে টালমাটাল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধী লেবার পাটির্রও। চলতি সপ্তাহে মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনাটি নিয়ে পালাের্মন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্সে’ ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটে ওই পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যাত হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অনাস্থা আনার প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরমি করবিন। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে পরে ভোট স্থগিত করে দেন মে। এরপর দলের ভেতরেই তাকে নেতৃত্বের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ‘সবর্স্ব দিয়ে লড়াই’র ঘোষণা থেরেসার দলীয় নেতৃত্বের আস্থা ভোটের মুখোমুখি দঁাড়িয়ে সবর্স্ব দিয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা। তিনি সতকর্ করেছেন, কনজারভেটিভ পাটির্র দলীয় নেতৃত্বে পরিবতর্ন এলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত হতে পারে। অনিশ্চয়তার মুখে হুমকিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতও। বুধবার থেরেসার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পালাের্মন্টে অনাস্থা ভোটের ডাক দেয়ার পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আস্থা ভোটকে সামনে রেখে থেরেসা মে বলেন, ‘২১ জানুয়ারির নিধাির্রত আইনি সময়সীমার মধ্যে নতুন একজন নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করা যাবে না।