সমালোচনার পরই কংগ্রেসকে মায়াবতীর সমথর্ন মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার গঠনে বাধা নেই

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিএসপি নেত্রী মায়াবতী
প্রথমে কংগ্রেসকে তুলাধুনা করলেন। তারপর রাহুল গান্ধীর দিকে সমথের্নর হাত বাড়িয়ে দিলেন ভারতের বহুজন সমাজ পাটির্র (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। ফলে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার গঠনে আর কোনো বাধা থাকল না। বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ভোট দিয়েছে, তাই কংগ্রেসের মতাদশর্ পছন্দ না হলেও বিজেপিকে দূরে রাখতে তাদের সমথর্ন করবে বিএসপি।’ মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বৃহত্তম দল হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কংগ্রেস। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস, পিটিআই সংবাদ সম্মেলনের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত মায়াবতীর বক্তব্য একটাই ছিল। না কংগ্রেস, না বিজেপি, দলিত তথা অবহেলিত মানুষের জন্য কোনো দলই ভাবে না। কংগ্রেসের ৭০ বছরের শাসনকালেও দলিতরা অবহেলিত ছিল, বিজেপির চার বছরে তারা আরও অবহেলিত। বিএসপির প্রধান মায়াবতী কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘৭০ বছরের শাসনকালে কংগ্রেস দলিতদের কথা ভাবেনি, বাবাসাহেব আম্বেদকরের আদশর্ মানেনি। আর সেজন্যই আজ বিএসপির মতো আলাদা দল তৈরির প্রয়োজনীয়তা পড়েছে। আমার মনে হয় না, কংগ্রেসেরও দলিতদের উন্নতি করার সদিচ্ছা আছে।’ এতদূর পযর্ন্ত শোনার পর হয়তো কংগ্রেস নেতৃত্বের রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে সরকার গঠনের জন্য মায়াবতীর দলের সমথর্ন তাদের প্রয়োজন। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশে। কারণ শিবরাজের রাজ্যে এখনো লড়াইয়ে আছে বিজেপি। কিন্তু এরপরই কথা ঘোরান মায়াবতী। কংগ্রেসকে একহাত নেয়ার পর তিনি বললেন, ‘বিজেপির শাসনকালে মানুষ আরও অতিষ্ঠ, মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভোট দিয়েছে। আমরা প্রত্যাশিত ফল করতে পারিনি। একা সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তাই কংগ্রেসের মতের সঙ্গে আমাদের মতের মিল না হলেও মধ্যপ্রদেশে তাদেরই সরকার গড়তে সমথর্ন করব। রাজস্থানেও প্রয়োজনে কংগ্রেসকে সমথর্ন করতে প্রস্তুত বিএসপি।’ উল্লেখ্য, মায়াবতীর এ ঘোষণার পর কংগ্রেসের পাশে দঁাড়িয়েছেন সমাজবাদী পাটির্র নেতা অখিলেশ যাদবও। ফলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনে কংগ্রেসের সামনে আর কোনো বাধা নেই। নিজেদের ১১৪টি আসনের সঙ্গে মায়াবতীর বিএসপির দুই আসন এবং সমাজবাদী পাটির্র (এসপি) একটি মিলিয়ে নিয়ে মোট আসন সংখ্যা দঁাড়ালো ১১৭। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। উত্তরপ্রদেশের এই দুই দল কংগ্রেসের পাশে দঁাড়ানোয় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও নতুন সমীকরণের সূত্রপাত হলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।