উত্তেজনা শেষ :রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গেহলট ও শচীনের সঙ্গে রাহুল
নবীন না প্রবীণ। কংগ্রেসের এই দ্ব›েদ্ব প্রথম পযাের্য় প্রবীণরাই জিতলেন। মা সোনিয়া গান্ধীর মত অনুসারে, ভারতের রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে অশোক গেহলটকেই বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনদিন টানটান উত্তেজনার পর শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। এর আগেই মধ্যপ্রদেশে কমলনাথকে বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। রাজস্থানেও প্রবীণ গেহলটেই ভরসা রাখলেন তিনি। শচীন পাইলটকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই। তবে, আগামী লোকসভা নিবার্চনে পাইলটকে বড় কোনো দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন শচীন পাইলট নিজেই। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসবেন, তিনদিন ধরে তা নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছিল। এমনকি রাজস্থানে দুই নেতার সমথর্কদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘষর্ও হয়। সমস্যা মেটাতে আসরে নামতে হয় দলের হাইকমান্ডকে। প্রথমে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক, পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমীের্দর মতামত এবং সবশেষে রাহুলের বাসভবনে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। গান্ধী পরিবারের মধ্যেও এনিয়ে দ্ব›দ্ব তৈরি হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। রাহুল নিজে শচীন পাইলটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, কিন্তু সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা চাইছিলেন গেহলটকে। শেষপযর্ন্ত মায়ের মতেই চ‚ড়ান্ত মত দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে হাসিমুখে ছবি পোস্ট করেন রাহুল। এমনকি নাম ঘোষণাও করা হয় দুই নবীন ও প্রবীণ দুই প্রজন্মের নেতাকে পাশাপাশি বসিয়েই। কিন্তু এসব সত্তে¡ও তিনদিন ধরে যে ফাটলের ছবিটা প্রকাশ্যে এসেছে তা চাপা দেয়া যাবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ কংগ্রেস সভাপতি হয়েই বলেছিলেন, অভিজ্ঞতা আর যৌবনের মিশেলে দল চালাবেন। জীবনে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে বসে সেই মুন্সিয়ানাই দেখিয়েছেন রাহুল। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন দু’জন। প্রবীণ কমল নাথ এবং নবীন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দিনভর আলোচনায় দুই নেতার বিবাদ মিটিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। ছবি তুলেছেন একসঙ্গে। রাতে ভোপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমল নাথের নাম ঘোষণা হয়েছে। তার আগে লিও টলস্টয়কে উদ্ধৃত করে রাহুল টুইট করেন, ‘সব চেয়ে শক্তিশালী দুই যোদ্ধা হলো, ধৈযর্ ও সময়।’ কংগ্রেস সূত্রের মতে, রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, নবীনরা ধৈযর্ রাখলে উপযুক্ত সময়ে যথাযথ মযার্দা পাবেন। এ দিন রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সেরে ভোপাল রওনা হওয়ার আগে জ্যোতিরাদিত্যও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ কোনো দৌড় নয়। মানুষের সেবাই মূল লক্ষ্য।’