প্রমাণ করেই ছাড়ব চৌকিদার চোর :হুঙ্কার রাহুলের

রাফায়েল যুদ্ধবিমান ইস্যু

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী
রাফায়েল যুদ্ধবিমান নিয়ে শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোটের্র রায় বেরোনোর পরপরই হইহই করে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসকে টাগের্ট করে আসরে নেমে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতিরা। সন্ধ্যা হতেই খেলা ঘুরিয়ে দেন রাহুল গান্ধী। সুপ্রিম কোটের্র রায়ের ‘গলদ’ তুলে ধরে উল্টে চাপে ফেললেন মোদি ও তার সঙ্গীদেরই। যার কোনো জুতসই উত্তর দিতে পারলেন না মোদি-সঙ্গীরা বা তার সরকারের সদস্যরা। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ ভারতের সুপ্রিম কোটের্র প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চের সবর্সম্মত রায়ে বলা হয়েছে, এই বিমান কেনার ক্ষেত্রে কোনো দুনর্র্ীতি হয়নি। তাই আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। রায়ে বলা হয়, রাফায়েলের দাম বিস্তারিত জানানো হয়েছে ভারতের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে (সিএজি)। আর সিএজির রিপোটর্ খতিয়ে দেখেছে পালাের্মন্টের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। এরপর মোদির সেনাপতিরা একের পর এক বাণ ছুড়তে থাকে কংগ্রেসের দিকে। দাবি ওঠে, এতদিন ধরে কংগ্রেস যে মিথ্যা অভিযোগ করে এসেছে, তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু সন্ধ্যার সংবাদ হচ্ছে কংগ্রেস নেতা মল্লিকাজুর্ন খড়্গেকে সঙ্গে এনে রাহুল বলেন, ‘গোটা রায়ের ভিতটাই এটা। কিন্তু বাস্তব হলো, রাফায়েলের দামের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে আসেইনি।’ খাড়্গেও বলেন, ‘শুক্রবারই পিএসির বৈঠক ছিল। ডেপুটি সিএজিকেও প্রশ্ন করি, এমন কোনো রিপোটর্ আছে কি-না? নাকি আমার সই কেউ জাল করলেন? রিপোটর্ সিএজির কাছেও নেই, পিএসির কাছেও নেই। আর পালাের্মন্টে যতক্ষণ না রিপোটর্ জমা পড়ছে, সেটি অন্য কাউকে জানানোর অধিকারও নেই।’ এরপরেই রাহুল বলেন, ‘এই রিপোটর্ কোথা থেকে এসেছে?’ সিএজির এই অংশটি নিয়েই চাপ বাড়াচ্ছেন রাহুল। এদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি আটঘাট বেঁধেই এসেছিলেন। সঙ্গে এনেছিলেন পি চিদাম্বরম, গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ প্যাটেলকে। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, যে রিপোটের্র অস্তিত্বই নেই, সেটি সুপ্রিম কোটের্র রায়ে এলো কী করে? এ তো জালিয়াতি। এর বিরুদ্ধে পালাের্মন্টে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনতে পারেন কংগ্রেস নেতারা। সরকার হয়তো ভেবেছিল, এই রায় আসার আগে সিএজির রিপোটর্ চলে আসবে। কিন্তু আসেনি। আর এতেই ফেঁসে গেছে মোদি সরকার। মোদিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাহুল বলেন, ‘মোদিজি যত পালানোর আর লুকনোর চেষ্টা করুন, পারবেন না। যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত হলেই দুই জনের নাম বেরোবেÑ নরেন্দ্র মোদি আর অনিল অম্বানি।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ করে ছাড়ব, চৌকিদার (মোদি) চোর।’ সুপ্রিম কোটের্র রায়কে অস্ত্র করে রাহুলকে কাঠগড়ায় দঁাড় করাতে অমিত শাহ, অরুণ জেটলি, নিমর্লা সীতারামনরা আসরে নেমেছিলেন। কিন্তু রাহুলের উগ্রমূতির্ দেখে রাতে সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর ভাষা, শরীরের ভঙ্গিমা নিম্নস্তরের।’