বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে হিন্দু দর্জি হত্যার দুই 'মাস্টারমাইন্ড' গ্রেপ্তার

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ভারতের রাজস্থানে এক হিন্দু দর্জিকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের এ ঘটনার 'মাস্টারমাইন্ড' বলে অভিহিত করেছে তারা। রাজস্থানের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য উদয়পুরের এ হত্যাকান্ডের পর রাজ্যজুড়ে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে প্রবল অস্থিরতা দেখা দেয়, ইন্টারনেট ও প্রতিবাদ সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে প্রশাসন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স অনলাইন শনিবার তিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উদয়পুরের এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত রাজস্থানের দুই মুসলমান ব্যক্তি গ্রেপ্তার করেছে তারা। উদয়পুরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রফুলস্ন কুমার বলেন, 'আমরা এখন দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করেছি, আর এর আগে এ নৃশংস অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছিল।' কুমার জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সেবা ধাপে ধাপে পুনর্বহাল করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সতর্কতা বজায় রেখে চলছে। গত সপ্তাহে নিজের টেইলারিং দোকানে খুন হন কানহাইয়া লাল তেলি। দুই ব্যক্তি তাকে হত্যা করে ঘটনার ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে। মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার কটূক্তির পক্ষাবলম্বন করায় কানহাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই দুইজন। শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুরের বক্তব্য উসকানিমূলক এবং তা ভারতকে ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে, তাই পুরো জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। নূপুর কান্ডের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে কয়েকটি মুসলিম দেশ। যার জেরে বিজেপি নূপুরকে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে বরখাস্ত করে। উদয়পুরের যে দোকানে কানহাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করা মুসলমানরা জানিয়েছেন, তারা ভয় পাচ্ছেন এবং উদয়পুরের প্রভাবশালী হিন্দু বাসিন্দারা তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। 'অল ইনডিয়া মুসলিম পার্সোলান ল বোর্ড'ও কানহাইয়া হত্যার নিন্দা করেছে এবং এটি একই সঙ্গে ভারতীয় আইন ও ইসলামী বিধিনিষেধ পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে