থাইল্যান্ডের ওই গুহায় ঘুমিয়ে আছেন এক রাজকন্যা!

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক কিশোর ফুটবলাররা থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশের যে গুহায় আটকে পড়েছিল, সেই গুহাটি নিয়ে অনেক লোক-কাহিনী রয়েছে। গত ২৩ জুন দুপুরে ১২ কিশোর ফুটবালার ও তাদের কোচ থাম লুয়াং গুহায় প্রবেশ করে প্রায় দুই সপ্তাহ হলো বের হতে পারেনি বৃষ্টির পানি প্রবেশমুখে জমে যাওয়ায়। এই থাম লুয়াং গুহা ১০ হাজার ৩১৬ মিটার লম্বা এবং থাইল্যান্ডে যত গুহা আছে, দৈঘের্্যর বিচারে এটি চতুথর্। থাম লুয়াং নামের এই গুহাটি কোথাও ১০ মিটার পযর্ন্ত উঁচু, কোথাও আবার অত্যন্ত সরু। এই গুহাটি নিয়েই স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে অনেক কাহিনী চালু রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছেÑ ‘থাম লুয়াং-খুন নাম নাং নন’ অথর্ হলোÑ ‘পাহাড়ের ভেতরে বিশাল এই গুহায় ঘুমিয়ে আছেন একজন নারী।’ আর তার রক্ত থেকেই নাকি এই পাহাড়েই জন্ম হয়েছে এক নদীর! গল্পটিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীনের চিয়াং রুং শহরের এক রাজকন্যা একজন অশ্বারোহী পুরুষের সঙ্গে গভীর সম্পকের্র পর গভর্বতী হয়ে পড়েন। এরপর তারা সমাজের ভয়ে ভীত হয়ে শহর থেকে পালিয়ে দক্ষিণের দিকে চলে আসেন। যখন তারা এই পাহাড়ি এলাকায় এসে পেঁৗছান, তখন রাজকন্যার প্রেমিক তাকে বলেন সেখানে বিশ্রাম নিতে। এরপর প্রেমিক খাবারের সন্ধানে বের হয়ে যান। তখন রাজকন্যার বাবার লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে হত্যা করে। রাজকন্যা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে তার প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। তিনি যখন নিশ্চিত হন যে, তার প্রেমিক আর ফিরে আসবেন না, তিনি তখন নিজের চুলের একটি ক্লিপ নিজ পেটের ভেতর ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন। তারপর তার মৃতদেহ তখন একটি পবের্ত পরিণত হয় এবং তার শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছিল, সেটা প্রবাহিত হয়ে ‘নাম মায়ে সাই’ নামের এক নদীর জন্ম হয়। ওই রাজকন্যা ভৌতিক নারী হিসেবে গুহাটিতে অবস্থান করছেন বলে লোক-কাহিনীতে উল্লেখ করা আছে। ফলে সহজে কেউ ওই গুহার আশপাশে যেতে চায় না। আরও যারা হারিয়েছিলেন থাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, স্থানীয় বান জং গ্রামের একজন নেতা বলেছেন, ১৯৮৬ সালে এই গুহার ভেতরে একজন বিদেশি পযর্টক নিখেঁাজ হয়ে গিয়েছিলেন। সাতদিন নিখেঁাজ থাকার পর তাকে নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় কোনো বন্যা ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন। তারপরও তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ওই গুহার ভেতরে নিখেঁাজ হয়ে গিয়েছিলেন বলে বলা হচ্ছে। তিন মাস তার কোনো খেঁাজই পাওয়া যায়নি। স্থানীয় একটি পত্রিকা লিখেছে, চীনা ওই শিক্ষক ন্যাশনাল পাকের্র একটি দোকানে তার সাইকেল জমা রেখে দোকানদারকে বলেছিলেন, তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করার জন্য গুহার ভেতরে যাচ্ছেন। তখন তার খেঁাজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। গুহার ভেতরে তাকে পাওয়া না গেলেও তিন মাস পর তাকে পাশের একটি অবকাশ কেন্দ্রে পাওয়া যায়। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ