যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সঙ্গে মতভেদের কারণে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। প্রধানমন্ত্রী থেরেসার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার দুই দিনের মাথায় ডেভিসের পদত্যাগের এই খবর এলো। সমালোচকদের মতে, থেরেসার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনেক বেশি নমনীয়। সংবাদসূত্র : বিবিসি, গডির্য়ান
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই বিচ্ছেদকেই বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট, যা ২০১৯ সালের মাচের্র মধ্যে শেষ করতে দুই পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দর কষাকষির দায়িত্ব দিয়ে ডেভিড ডেভিসকে ২০১৬ সালে মন্ত্রিসভায় আনেন থেরেসা। রোববার ডেভিসের পর তার দপ্তরের উপমন্ত্রী স্টিভেন বেকারও পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার পালাের্মন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ডেভিসের এই পদত্যাগ সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে এলো।
পদত্যাগপত্রে ডেভিস লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, তাতে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না। ডেভিস বলেন, ‘থেরেসার বতর্মান নীতি ও কৌশলে বোঝা যাচ্ছে, তিনি শুল্ক ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করতে কিংবা যুক্তরাজ্যের জন্য একক বাজার তৈরি করতে যাচ্ছেন না।’
জবাবে থেরেসা মে লিখেছেন, শুক্রবার মন্ত্রিসভার সম্মতি পাওয়া প্রস্তাবকে যে ভাষায় ডেভিস বণর্না করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা বলেছেন, ডেভিস সরে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে দায়িত্ব তিনি এতদিন পালন করেছেন, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চান।
এদিকে রক্ষণশীল দলের এমপি পিটার বোন পদত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য ডেভিসকে বাহŸা দিয়ে বলেছেন, নীতি বঁাচাতে এটা তার সাহসী পদক্ষেপ। বোনের ভাষায়, ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর থেরেসার প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে লেবার পাটির্র চেয়ারম্যান ইয়ান লেভরি বলেছেন, সরকারে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, ডেভিসের পদত্যাগের পর থেরেসা মে’র হাতে কোনো কতৃর্ত্বই আর থাকতে পারে না। আর লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সামথর্্য থেরেসা মের নেই।
