আহত সাতজন

থাইল্যান্ডে একযোগে ১৭ স্থানে বিস্ফোরণ

মূলত মুসলিম অধু্যষিত পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং শঙ্খলা প্রদেশের অংশবিশেষে স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাই সরকার

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১৭টি স্থানে একযোগে বিস্ফোরণ ও আগুন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, দৃশ্যত এটি একটি সমন্বিত হামলা। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর তিনটি প্রদেশের নিত্যপণ্যের দোকান ও গ্যাস স্টেশন লক্ষ্য করে এসব বোমা ও আগুন হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় অন্তত সাতজন হালকা আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রম্নপ এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই কম মাত্রার বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে। মূলত মুসলিম অধু্যষিত পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং শঙ্খলা প্রদেশের অংশবিশেষে স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাই সরকার। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সাত হাজার তিনশ'রও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গ্রম্নপ ডিপ সাউথ ওয়াচ। এই সংঘাত নিরসনে ২০১৩ সালে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও বারবার তা বিঘ্নিত হয়েছে। মহামারির কারণে দুই বছর আলোচনা বন্ধ থাকার পর এই বছরের শুরুতে মূল বিদ্রোহী গ্রম্নপ বারিসান রিভোলুসি ন্যাসোনাল-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা ফের শুরু করে থাই সরকার। এর মধ্যে বুধবার নতুন করে হামলার ঘটনা সামনে এলো। সর্বশেষ ধাপের আলোচনায় আরেকটি গ্রম্নপ পাটানি ইউনাইটেড লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিইউএলও) দূরে রাখা হয়। এই গ্রম্নপটি রমজান মাসে একাধিক বোমা হামলা চালিয়ে দাবি করে, আলোচনা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সরকার জানিয়েছে, তারা সব গ্রম্নপের সঙ্গেই আলোচনার জন্য প্রস্তুত। পিইউএলও-এর নেতা কস্তুরি মাখোতা বুধবারের হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন এর সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সূত্র : রয়টার্স