গ্রেপ্তার ১৩৬৯ জন

উত্তাল কেরালা :ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা

এ পযর্ন্ত মোট ৮০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন দুই সাংসদের বাসায় বোমা হামলায় দাঙ্গা আরও বিস্তৃত হতে পারে

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে নারীর প্রবেশের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সহিংসতা ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের দুই সাংসদের বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। মন্দিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বামপন্থিদের সঙ্গে বিজেপি সমথর্কদের সংঘষর্ হয়েছে। এ পযর্ন্ত ৮০১টি মামলায় ১৩৬৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Ñএএফপি
ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরিমালা মন্দিরে নারীর প্রবেশের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বাম ডানপন্থিদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এ পযর্ন্ত পুলিশ ১৩৬৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট মামলা হয়েছে ৮০১টি। তৃতীয় নারী হিসেবে মন্দিরে প্রবেশ করেছেন শ্রীলঙ্কান এক নারী। শশিকলা নামের ওই নারীর দাবি, তিনি মন্দিরে ঢুকলেও পুলিশের বাধার কারণে আরাধ্য দেবতার দশর্ন পাননি। অন্যদিকে, গত বুধবার শবরিমালা মন্দিরে ঢোকা দুই নারীর নাম বিন্দু ও কনকদুগার্ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মন্দিরে ঢোকার সময় সেখানকার কমর্কতাের্দর কাছ থেকে কোনো বাধা পাননি। সংবাদসূত্র : এনডিটিবি শশিকলা নামের শ্রীলঙ্কার সেই নাগরিকের বয়স ৪৬ বছর। শবরিমালা মন্দিরে এত দিন ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী কোনো নারী প্রবেশ করতে পারতেন না। তবে সবোর্চ্চ আদালত সম্প্রতি তা খারিজ করে দিয়েছেন। এরপরই গত বুধবার ভোরে মধ্যবয়সী ঋতুমতী দুই নারী প্রশাসনের সহায়তায় শবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করে প্রাথর্না সারেন। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ ও সহিংসতা। এই বিক্ষোভ শুক্রবারও চলেছে। খবরে বলা হয়েছে, শশীকলা বৃহস্পতিবার রাতে মন্দিরে ঢোকেন। সেখানকার স্থানীয় পুলিশ বলছে, শশীকলাকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি এবং তিনি প্রাথর্না করতে পেরেছেন। তবে শশীকলা বলছেন, পুলিশ তাকে বাধা দিয়েছেন এবং তিনি ঢুকেছেন মন্দিরের নিয়ম মেনেই। শ্রীলঙ্কার এই নাগরিকের দাবি, তিনি ঋতুমতী নন এবং এটি নিশ্চিত করতে তার কাছে চিকিৎসকদের সনদপত্রও ছিল। ১৯৯১ সালে দেয়া কেরালা হাইকোটের্র নিদের্শ অনুযায়ী ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী নারী ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। সন্দেহজনক নারীদের মন্দির কতৃর্পক্ষের কাছে বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হয়। এই প্রথার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোটের্ মামলা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে সবোর্চ্চ আদালত তার রায়ে সেই বৈষম্য দূর করেন। সেই থেকে একাধিকবার মন্দির দশের্ন গেলেও কোনো ঋতুমতী নারী সফল হননি। গত বুধবার ভোরে প্রথমবারের মতো দুই নারী সেই প্রথা ভাঙেন। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেরালায় রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বামপন্থীদের সঙ্গে বিজেপি সমথর্কদের সংঘষর্ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘসহ (আরএসএস) বিভিন্ন ডানপন্থি সংগঠন এই সংঘাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ধমির্নরপেক্ষতা ও বৈষম্যহীনতার পক্ষে গলা ফাটানো রাজ্য কংগ্রেসও। অবশ্য প্রবল বিক্ষোভের মুখেও অটল আছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।