সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনা প্রেসিডেন্ট

সামরিক বাহিনীর প্রতি শি’র এই নিদের্শনা বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পকের্ টানাপড়েন আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মহড়ারত চীনের সেনাবাহিনী
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে যা যা দরকার তা করতে নিদের্শ দিয়েছেন। শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর শীষর্ কমর্কতাের্দর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নিদের্শ দেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় বাতার্ সংস্থাগুলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। সংবাদসূত্র: রয়টাসর্, সিনহুয়া প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, বাড়তি চ্যালেঞ্জ ও ঝঁুকির মুখে চীনের সেনাবাহিনীকেই দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে চীন তাদের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার ওপর আগের তুলনায় অনেক বেশি জোর দিচ্ছে। শুল্ক নিয়ে দ্ব›েদ্বর পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর প্রতি শি’র এই নিদের্শনা বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পকের্ টানাপোড়েন আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে শঙ্কা পযের্বক্ষকদের। চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান শি সেনাবাহিনীকে নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৌশল পযাের্লাচনা এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি ও তা চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে বলেছেন। বিশ্ব আজ এমনই এক বড় পরিবতের্নর মুখোমুখি, গত এক শতাব্দীতেও যা দেখা যায়নি। সমৃদ্ধির জন্য চীন কৌশলগত সুযোগের একটি গুরুত্বপূণর্ সময়ের মধ্যেই আছে, চীনা কমিউনিস্ট পাটির্র (সিপিসি) এ সাধারণ সম্পাদককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সিনহুয়া। শি জরুরি অবস্থায় সেনাবাহিনীর দ্রæত প্রতিক্রিয়া দেখানোর সক্ষমতা অজর্ন, যৌথ অভিযানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন ধরনের বাহিনীর বিকাশের ওপরও জোর দিয়েছেন। এর আগে বুধবার চীনের এ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার দেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা রুখতে ও ‘একীভূতকরণের’ লক্ষ্য অজের্ন তাইপের ওপর বলপ্রয়োগের অধিকার রাখে। গত সপ্তাহে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের নিরাপত্তা সুরক্ষা দিতে এশিয়া রিঅ্যাসিউরেন্স ইনিশিয়েভ অ্যাক্টে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার প্রতিক্রিয়াতেই শি ওই কথা বলেন। চীন তাইওয়ানকে তার ভূখÐের অংশ হিসেবেই দেখে। অন্যদিতে তাইপের জনগণের একাংশ বেইজিং থেকে স্বাধীন হতে চায়। স্বাধীনতাপন্থি ওই অংশটি তাইওয়ানের সবের্শষ নিবার্চনে বিজয়ী হওয়ার পর চীনের সঙ্গে তাদের বিবাদ আরও প্রকাশ্য হয়। এ নিয়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যেও উত্তেজনা চলছে। গতবছর মাকির্ন যুদ্ধজাহাজগুলো কয়েকবারই তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করেছে। চীন বরাবারই এ ধরনের ‘উসকানির’ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অথর্নীতির দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দেশ দুটি তাদের গত কয়েক মাসের বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর উদ্দেশ্য হলো কে কাকে টপকে বিশ্বের প্রযুক্তি নেতায় পরিণত হবে। অথার্ৎ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কে নেতৃত্ব দিবে- যুক্তরাষ্ট্র নাকি চীন? কয়েক সপ্তাহ আগে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম নেটওয়াকর্ প্রতিষ্ঠান।