যুক্তরাজ্যে পঁাচ লাখ পাউন্ড জরিমানার মুখে ফেসবুক

জ্জ অনৈতিকভাবে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকর্ জুকারবাগর্
ফেসবুক কতৃর্পক্ষকে যুক্তরাজ্যের তথ্য অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা পঁাচ লাখ পাউন্ড জরিমানার পরিকল্পনা করছে। ‘ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা’ কেলেঙ্কারির জের ধরে এই জরিমানার কথা ভাবা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে এটাই হবে এ ধরনের সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা। ফেসবুক কতৃর্পক্ষ এই জরিমানার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক দলের ব্যবহারের জন্য তারা অনৈতিকভাবে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছিল। ফলে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট নিবার্চন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার বিষয়ে গণভোটের ফল প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তথ্য অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আথির্ক জরিমানার পাশাপাশি বিলুপ্ত হওয়া ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সহযোগী সংস্থা ‘এসসিএল ইলেকশন’র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথাও ভাবছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে, সে সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা ফেসবুক কতৃর্পক্ষ তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে ব্যাখ্যা করেনি। এর পাশাপাশি সংস্থাটি যুক্তরাজ্যের ১১টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে, যাতে তারা তাদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে এবং সেটি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা নিরীক্ষা করে। যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট প্রশ্নে গণভোটের সময় রাজনৈতিক প্রচারণায় জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত শুরুর ১৬ মাস পরে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের অফিস থেকে ফেসবুককে জরিমানার উদ্যোগ এসেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামশর্ক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য ছিল, সেগুলো যাতে তারা মুছে ফেলে সেটি ফেসবুক নিশ্চিত করতে ব্যথর্ হয়েছে। এতে ফেসবুকের নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছে তথ্য কমিশনারের অফিস। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা জানিয়েছিল, ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ পাওয়ার পর তারা সব তথ্য মুছে ফেলেছে। কিন্তু তথ্য কমিশনার অফিস বলছে, সেসব তথ্য যে অন্যদের দেয়া হয়েছে, সে সংক্রান্ত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। তীব্র বিতকের্র মুখে গত মে মাসে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে গত এপ্রিল মাসে মাকির্ন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিচার ও বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিবার্হী মাকর্ জুকারবাগর্। তখন জুকারবাগর্ বলেন, ‘নিজেদের দায়িত্বের ক্ষেত্রে আমরা বেশি নজর দেইনি। সত্যিকার অথের্ এটি বিশাল ভুল ছিল। আর ভুলটি ছিল আমার নিজের।’ অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামশর্ক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রায় পঁাচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। যদিও ফেসবুক কতৃর্পক্ষ পরে মোট ৮ কোটি ৭০ লাভ গ্রাহকের তথ্য চুরির খবর নিশ্চিত করে।