তালেবানের দায় স্বীকার

পাকিস্তানে জনসভায় আত্মঘাতী হামলা, প্রাথীর্সহ নিহত ২০

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হামলার পর রক্তাক্ত ঘটনাস্থল
পাকিস্তানের পেশোয়ারে এক নিবার্চনী জনসভায় আত্মঘাতী হামলায় একজন রাজনৈতিক নেতাসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী ন্যাশনাল পাটির্র (এএনপি) প্রাথীর্ হারুন বিলোর। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬৩ জন আহত হয়েছেন। এএনপি দলটি তালেবানবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত। তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংবাদসূত্র : ডন, আল-জাজিরা, পিটিআই দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জনসভায় যখন প্রাথীের্ক স্বাগত জানাতে দলের সমথর্করা বাজি পোড়াচ্ছিলেন, সেই সময়ই ভিড়ে মিশে গিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে আত্মঘাতী হামলাকারী। বিলোর জনসভাস্থলে আসার পরই সমথর্কদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার জন্য মঞ্চের দিকে এগোচ্ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়ই মঞ্চের কাছে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই বিলোর নিহত হন। এর আগেও ২০১৩ সালের জাতীয় নিবার্চনের সময়ও তালেবান হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল এএনপি। ওই সময় এক আত্মঘাতী হামলায় এএনপির সিনিয়র নেতা বশির বিলোর নিহত হয়েছিলেন। এবারের হামলায় তার ছেলে হারুন বিলোর নিহত হলেন, তিনি প্রাদেশিক আইন পরিষদের একজন প্রাথীর্ ছিলেন। পাক সামরিক বাহিনীর তালেবানবিরোধী অভিযানে এএনপি সমথর্ন করায় দলটিকে টাগের্ট করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ২০১৩ সালের নিবার্চনের সময় এএনপির বিরুদ্ধে চালানো অধিকাংশ হামলার দায় স্বীকার করেছিলেন তালেবানের তৎকালীন প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ফজলুল্লাহও নিহত হন। পেশোয়ারের এক পুলিশ কমর্কতার্ জানিয়েছেন, আট কেজি টিএনটি বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে। ‘বম্ব ডিসপোজাস স্কোয়াড’ জানিয়েছে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা। আর বিলোরই হামলার টাগের্ট ছিলেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জাতীয় নিবার্চনের আগে নিরাপত্তা হুমকির কথা বলে সতকর্ করে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ওই মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানে অনেক দিন ধরে থাকা শান্ত পরিস্থিতি রাজনীতিকদের বাইরে বের হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। কিন্তু এই হামলার পর দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক রাজনীতিক দলের নিবার্চনী প্রচারণায় এই ঘটনা প্রভাব ফেলবে। আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। নিবার্চনের আগে এটিই প্রথম বড় ধরনের হামলা। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধান নিবার্চন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সদার্র মহম্মদ রাজা খান। একইসঙ্গে ঘটনাকে নিরাপত্তা বিভাগের দুবর্লতা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। কমিশনার বলেছেন, স্বচ্ছ নিবার্চন প্রক্রিয়া বানচালের লক্ষ্যে এই বিস্ফোরণ একটা ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে, এএনপি নেতা মিলন ইফতিকর হুসেইন বলেছেন, দলের প্রাথীের্দর নিরাপত্তা দিতে সম্পূণর্ ব্যথর্ সরকার।