দাস আইনের প্রতিবাদে হাঙ্গেরির রাজপথ উত্তাল

হ বছরে ৪০০ ঘণ্টা ওভারটাইমের সুযোগ রেখে পাস হওয়া আইনকে ‘দাস আইন’ উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সূত্রপাত হ প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের্র প্রতিও অনাস্থা জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আধুনিক দাস প্রথার প্রতিবাদ ও ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে শনিবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ঐতিহাসিক হিরোস স্কয়ার থেকে ড্যানুব নদী তীরের পালাের্মন্ট ভবন এলাকা পযর্ন্ত বিস্তৃত বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটিতে বছরে ৪০০ ঘণ্টা ওভারটাইমের সুযোগ রেখে পাস হওয়া আইনকে ‘দাস আইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সমস্বরে আওয়াজ তোলেন এ আইন বাতিলের দাবিতে Ñরয়টাসর্
দাস আইনের প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের্র প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাঙ্গেরির রাজপথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবার রাজধানী বুদাপেস্টের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা। বিক্ষোভকারীরা হাঙ্গেরিতে বছরে ৪০০ ঘণ্টা ওভারটাইমের সুযোগ রেখে পাস হওয়া আইনকে ‘দাস আইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আওয়াজ তোলেন এ আইন বাতিলের দাবিতে। সংবাদসূত্র: আল-জাজিরা তুষারপাতের মধ্যেই রাজপথে অবস্থান নিয়ে দাস আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের জানান দেন বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী বুদাপেস্টের ঐতিহাসিক হিরোস স্কয়ার থেকে ড্যানুব নদী তীরের পালাের্মন্ট ভবন এলাকা পযর্ন্ত বিক্ষোভ নিয়ে অগ্রসর হন তারা। এ সময় তাদের হাতে লেখা ব্যানারে ছিল সরকার পতনের ডাক। কোনো কোনো ব্যানারে আহŸান জানানো হয়, দেশজুড়ে যেন ধমর্ঘটের ডাক দেয়া হয়। ইভা ডেমেটার নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ২০১০ সালে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুনীির্ত থেকে শুরু করে ছদ্ম গণতন্ত্র পযর্ন্ত যা যা হচ্ছে তার প্রায় সবকিছুর সঙ্গেই আমরা একমত নই। ৫০ বছরের এই গৃহকমীর্ বলেন, নতুন করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নামবেন। কেননা, এ দাস আইনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ডিসেম্বরে হাঙ্গেরির পালাের্মন্টে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই এ আইন নিয়ে নিজেদের ক্ষোভের জানান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। ডিসেম্বরে দাস আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এমটিভিএর সদর দপ্তরের সামনে পৌঁছে যায়। এক পযাের্য় তারা ভবনটিতে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘষর্ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। আগের আইনে একজন মালিক বছরে শ্রমিকদের ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম করাতে পারতেন। কিন্তু নতুন আইনে ৪০০ ঘণ্টা ওভারটাইমের সুযোগ রাখা হয়েছে। পালাের্মন্টে এই আইনের প্রস্তাব করে উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের ফিডেজ পাটির্। সরকারের দাবি, কমর্ঘণ্টায় এই স্বেচ্ছামূলক পরিবতর্ন শ্রমিকদের স্বাথের্ই করা হয়েছে। এতে করে মানুষ বেশি কাজ ও বেশি আয় করতে পারবে। কিন্তু সরকারের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিক্ষোভকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন আইনের স্বপক্ষে কমীর্ সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সরকারি হিসাবে, হাঙ্গেরিতে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। বুদাপেস্ট থেকে মিরনা ব্রেকালো জানান, আন্দোলনকারীদের দাবির পরিমাণ আরও বেড়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের্র অপসারণ চায়।