ইসলামকে সমাজতন্ত্রের সঙ্গে এক করতে চীনে নতুন আইন

হ এই আইন স্বাধীন ধমর্চচার্য় নতুন বাধা হিসেবে আবিভূর্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে হ দেশটির বিরুদ্ধে এর আগেও মুসলমানদের ধমর্ পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের সংখ্যালঘু মুসলমানরা
আগামী পঁাচ বছরের মধ্যে ইসলামকে ‘চীনা ঘরানার’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূণর্ করে তুলতে নতুন আইন করতে যাচ্ছে বেইজিং। দেশটিতে মুসলমানদের ধমর্চচার্য় এটি নতুন বাধা হিসেবে আবিভূর্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার আটটি ইসলামী সংস্থার সঙ্গে সরকারি কমর্কতাের্দর বৈঠকের পর নতুন আইনের এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে চীনের সংবাদমাধ্যমগুলো। সংবাদসূত্র: গেøাবাল টাইমস, আল-জাজিরা বৈঠকে দুই পক্ষই ইসলামকে সমাজতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূণর্ উপায়ে পরিচালিত করা এবং চীনা ঘরানা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে একমত হয়েছে জানিয়েছে তারা। আলোচনার বিস্তারিত এবং বৈঠকে কোন কোন ইসলামী সংস্থা ছিল তা জানা যায়নি। শি জিনপিং চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ‘মতবাদে বিশ্বাসী গোষ্ঠী’র ওপর নানামুখি চাপ বাড়ছে। চীনা কমিউনিস্ট পাটির্র এ সাধারণ সম্পাদককে মাও সেতুং এর পর দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠনগুলোও চীনের অনেক অংশে মুসলমানদের ধমর্ পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে। কিছু কিছু এলাকায় নামাজ-রোজার পাশাপাশি দাড়ি রাখায় বা হিজাব পরায় অনেককে গ্রেপ্তারের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশটির ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে আটক রেখে ধমর্ পালনে বাধা এবং জোর করে কমিউনিস্ট মতাদশের্ আস্থাশীল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও ধারণা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত শুদ্ধি’ অভিযান চালানোরও অভিযোগ করেছে। গত বছরের আগস্টে ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের সম্পাদকীয়তেও চীনের মুসলমানদের ওপর চাপ ও হয়রানির প্রসঙ্গ এসেছে। মাকির্ন এ গণমাধ্যমটি বলেছে, চীনের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, বিশ্ব তা এড়িয়ে যেতে পারে না। আল জাজিরা বলছে, চীনের বিভিন্ন মসজিদ থেকে গম্বুজ ও চঁাদ-তারার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে মাদ্রাসার পাশাপাশি আরবি ভাষা শেখানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে; শিশুদের ধমীর্য় চচাের্তও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়েও জানিয়েছে তারা। চীন অবশ্য শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বেইজিং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধমর্ ও সংস্কৃতির সুরক্ষা দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। কিন্তু গত সপ্তাহে মিয়ানমার সংলগ্ন চীনের ইয়ুনান প্রদেশে দেশটির জাতিগত প্রান্তিক সংখ্যালঘু হুই মুসলিম সম্প্রায়ের অন্তত তিনটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে সাউথ চায়না মনির্ং পোস্ট জানিয়েছে। গত আগস্টে মাসে চীনে সংখ্যালঘু উইগর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নিযার্তনের কারণে চীনা সরকারের তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছিল বিশ্বব্যাপী। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক উইগর মুসলিমকে কতোগুলো বন্দী শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে। জাতিসংঘের একটি কমিটি জানতে পেরেছে যে ১০ লাখের মতো উইগর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের কয়েকটি শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব ক্যাম্পে তাদেরকে নতুন করে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।