ওজন হারালেও উদ্ধার হওয়া থাই কিশোররা সুস্থ

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
থাইল্যান্ডের থাম থাম লুয়াং পাহাড়ি গুহায় ১৭ দিন আটকা থেকে গড়ে দুই কেজি করে ওজন হারিয়েছে ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচ। ওজন হারালেও তারা ভালো আছে এবং তাদের মধ্যে চাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে বুধবার জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক সিনিয়র স্বাস্থ্য কমর্কতার্। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্ মিয়ানমারের সীমান্তবতীর্ থাম লুয়াং গুহা থেকে মঙ্গলবার রাতে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’ ফুটবল দলের অবশিষ্টদের বের করে আনার পর থাইল্যান্ডজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। গুহা থেকে শেষ দলটিকে উদ্ধারের পর তাদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে ৭০ কিলোমিটার দূরের চিয়াং রাই প্রাচানুকরহ হাসপাতালে নেয়া হয়। দলটির আগে উদ্ধার পাওয়া বাকি কিশোররাও ওই হাসপাতালেই নিবিড় পযের্বক্ষণে আছে। এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিদশর্ক থংচাই লেটর্উইলাইরতনাপং বুধবার বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, তারা ভালো অবস্থায় আছে এবং চাপের মধ্যে নেই। গুহার মধ্যেও ওই শিশুদের ভালো যতœ নেয়া হয়েছিল। অধিকাংশ কিশোরই গড়ে দুই কেজির মতো ওজন হারিয়েছে।’ এদের মধ্যে রোববার প্রথম যে চার কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের বাবা-মা তাদের দেখার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু পূবর্ সতকর্তা হিসেবে তাদের সুরক্ষামূলক পোশাক পরতে হয়েছে এবং সাত ফুট দূর থেকে সন্তানদের দেখতে হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ যে দলটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের একজনের ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং পুরো দলের সবাইকে জলাতঙ্ক ও টিটেনাসের টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থংচাই। গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করেছিল। কিন্তু প্রচÐ বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়। তাদের উদ্ধারের খবর থাইল্যান্ডের খবরের কাগজগুলোর প্রথম পাতার শিরোনাম হয়েছে। ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া দেশি-বিদেশি ডুবুরিদের প্রশংসা করে অনেকে তাদের ‘জাতীয় বীর’ আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুভেচ্ছা বিনিময় ও অভিনন্দনের ঢল নেমেছে। থাইল্যান্ডের এই নাটকীয় উদ্ধার অভিযানের সাফল্যের উল্লাস রাশিয়ার বিশ্বকাপেও অনুরণন তুলেছে। টুইটারে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’দের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়রা।