মোদিকে নিয়ে প্রশ্ন বিজেপিতেই

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বিজেপির সময় ভালো যাচ্ছে না। সম্প্রতি পঁাচ রাজ্যের বিধানসভা নিবার্চনে বিজেপির চরম পরাজয়ের পর দলের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বিজেপি টের পেয়ে গেছে যে তাদের জনপ্রিয়তা কমছে। পঁাচ রাজ্যের মধ্যে তিনটি বড় রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। এবার সেখানকার হাল ধরেছে কংগ্রেস। বিজেপির শরিক দলের নেতারাও মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাওয়া এখন স্তিমিত হয়ে আসছে। মানুষ মোদির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নিবার্চনের মতো ফের ঝড় তুলে ক্ষমতায় যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে খোদ দলের অন্দরেই বিতকর্ আছে। ফলে এখন যে হাওয়া বইছে, তাতে বিজেপির ফের ক্ষমতায় যাওয়া কঠিনই হবে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক শিবসেনা আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লোকসভা নিবার্চনে লড়বে না। শিবসেনা এককভাবে লড়বে। এবার বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদলাক। এবারের নিবার্চনে যদি বিজেপি এককভাবে বা এনডিএ এককভাবে সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় আসন না পায় এবং পালাের্মন্ট যদি ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে বিজেপি নেতা ও বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নিতীন গড়কড়ির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ আসতে পারে। কারণ বিজেপিতে তিনি এখনো একজন আদশর্ নেতা। তার সঙ্গে বিজেপির চালিকা শক্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ভালো সম্পকর্ও রয়েছে। এ ছাড়া তিনি এখন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই শিবসেনা মনে করে, মোদির পর যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন নিতীন গড়কড়ি। এ বছরের লোকসভা নিবার্চনে যদি ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি হয়, সে জন্য দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদিই। ২০১৪ সালে বিপুল জনসমথর্ন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যথর্ হয়েছে। ফলে দিন দিন বিজেপির জনপ্রিয়তা কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিতীন গড়কড়ির প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। কারণ আরএসএস রামমন্দির নিমাের্ণর জন্য আইন করার পরামশর্ দিলেও মোদি সেই পথে না হেঁটে আদালতের রায়ের আশায় দিন গুনছেন। এতে ক্ষব্ধ হয়েছে আরএসএস। এ কারণে মোদির ওপর এখন আস্থা হারাতে বসেছে তারই শরিকেরা। নিতীন গড়কড়িও বলেছেন, পঁাচ রাজ্যে পরাজয়ের ভার নিতে হবে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে। যদিও বিজেপির সবর্ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তার ব্যথর্তার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের নেতৃত্বের ওপর। আবার উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ গৌতম দাবি করেছেন, যোগী আদিত্যনাথকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তার স্থলে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক রাজনাথ সিংকে।