অচলাবস্থার মধ্যেই মেক্সিকো সীমান্ত পরিদশের্ন যাচ্ছেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অচলাবস্থার মধ্যেই মেক্সিকো সীমান্ত পরিদশের্নর ঘোষণা দিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক বাতার্য় তিনি জানিয়েছেন, এ সপ্তাহেই তিনি মেক্সিকো সীমান্ত পরিদশর্ন করবেন। সীমান্ত দেয়াল নিমার্ণ ইস্যুতে সরকারের অচলাবস্থার ১৭ দিনের মাথায় ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের জানাতে পেরে আনন্দিত যে, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংকট সম্পকের্ খুব শিগগিরই জাতিকে অবহিত করব। সংবাদসূত্র: আল-জাজিরা ট্রাম্পের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হয় যে, ডেমোক্র্যাটিক পাটির্ নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস দেয়াল নিমাের্ণ তহবিল বরাদ্দ দিতে না চাইলেও এ ইস্যুত এখনও পযর্ন্ত অনড় অবস্থানে রয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। কেননা তিনি মনে করেন, এ দেয়াল নিমাের্ণর মাধ্যমে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক পাচারেরও রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে। তবে ডেমোক্র্যাটিক পাটির্র সদস্যরা মনে করেন বিশাল সীমান্তজুড়ে এই দেয়াল নিমার্ণ খুবই ব্যয়বহুল এবং একইসঙ্গে এটি একটি অনৈতিক পদক্ষেপ। এর আগে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, যতক্ষণ পযর্ন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণর অথর্ না দিচ্ছে ততক্ষণ সরকারে অচলাবস্থা বিদ্যমান থাকবে। এই অচলাবস্থা মাসের পর মাস এমনকি প্রয়োজনে বছরের পর বছর ধরে চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমার্ণ করতে ৫৬০ কোটি ডলারের তহবিল বরাদ্দ করতে কংগ্রেসের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি সরকারের অচলাবস্থা বহু বছর ধরে সহ্য করতে প্রস্তুত আছেন। কিন্তু মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার অবস্থান থেকে তিনি সরে যাবেন না। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাওয়া অথর্ বরাদ্দ না রেখেই সম্প্রতি মাকির্ন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হয়েছে। দুই সপ্তাহ সরকারে চলা আংশিক অচলাবস্থার নিরসনে ৩ জানুয়ারি ছয়টি বিল পাস করেছে মাকির্ন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিলটি পাস হয়ে গেলেও তা সিনেটে বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে রিপাবলিকান সিনেটররা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ।