অনড় ট্রাম্প, ফের জরুরি অবস্থা জারির হুমকি

ইতিহাসের দীঘর্তম অচলাবস্থার মুখোমুখি ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প খঁুজে পাচ্ছেন না রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটরাও পিছু হটতে নারাজ জরুরি অবস্থা জারি হলে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে পারবেন

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণর জন্য পযার্প্ত অথর্ বরাদ্দ না পেলে কংগ্রেসকে পাশ কাটাতে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ফের জানিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সীমান্তের টেক্সাস অংশ পরিদশের্ন যাওয় ট্রাম্প পুনবার্র এ হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাতার্সংস্থাগুলো। সংবাদসূত্র: রয়টাসর্ প্রেসিডেন্ট নিবার্চনের প্রচারের সময় তিনি যে কোনো মূলে দেয়াল নিমাের্ণর প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা বলছে, তারা ‘জনগণের করের টাকায়’ এ প্রতিশ্রæতি পূরণ হতে দেবে না। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের ব্যয় নিবাের্হ প্রয়োজনীয় অথর্ সংস্থানের বিলটি আলোর মুখ দেখেনি। ট্রাম্প বলেছেন, দেয়াল নিমাের্ণর বরাদ্দ ছাড়া তিনি কোনো অথির্বলে স্বাক্ষর করবেন না। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের এ পাল্টাপাল্টিতে ২২ ডিসেম্বর থেকে মাকির্ন কেন্দ্রীয় সরকারের অসংখ্য বিভাগ ও সংস্থায় অচলবাস্থা দেখা দেয়। জরুরি অবস্থা জারি করেই এই অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। আমরা জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিতে পারি। কিন্তু তা করা উচিত হবে না, এটি সাধারণ কাÐজ্ঞান, সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। জরুরি অবস্থা জারি হলে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে পারবেন। যে লড়াইয়ে সহজেই জিতে যাবেন বলেও ধারণা মাকির্ন প্রেসিডেন্টের। অচলাবস্থা নিরসনে বুধবার শীষর্ দুই ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি ও চাক শুমারের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন ট্রাম্প; যদিও সেই বৈঠকের স্থায়িত্বকাল ছিল একেবারেই অল্প। ডেমোক্র্যাট নেতারা দেয়াল নিমাের্ণর অথার্য়নে অস্বীকৃতি জানালে সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনা শুরুর কোনো লক্ষণ বা উদ্যোগ নেই। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এক-চতুথার্ংশ বিভাগ ও সংস্থার কাযর্ক্রম বন্ধ হয়ে আছে। ২০ দিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না লাখ লাখ মাকিির্ন। শনিবার পযর্ন্ত চললে এই অচলাবস্থা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীঘর্তম। চীনকেও দেখেছি। খোলামেলাভাবে বলি, চীন অনেক ক্ষেত্রেই কঁাদুনে চাক ও ন্যান্সির তুলনায় অনেক বেশি সম্মানীয়; আমার সত্যিই তাই মনে হয়, বলেছেন ট্রাম্প। অচলাবস্থা ও দেয়াল নিমার্ণ ঘিরে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ২২ জানুয়ারি থেকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে হতে যাওয়া ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করেছেন।