শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দ্রæততর গতিতে উষ্ণ হচ্ছে বিশ্বের সমুদ্রগুলো। এতে বিশ্ব চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার ঝঁুকিতে রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে যেতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে Ñগাডির্য়ান
পূবর্বতীর্ হিসাবের চেয়েও দ্রæততর গতিতে উষ্ণ হচ্ছে বিশ্বের সমুদ্রগুলো। এতে বিশ্ব চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন আভাস দেয়া হয়েছে। নতুন প্রতিবেদনটি তৈরি করার ক্ষেত্রে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত প্রকাশিত হওয়া চারটি গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে সামুদ্রিক তাপমাত্রাজনিত বিভিন্ন পরিমাপ ও এগুলোর মধ্যকার তারতম্যজনিত গোলযোগগুলো সংশোধন করা হয়েছে। সমুদ্রের ওপর জলবায়ুর পরিবতর্নজনিত প্রভাব নিণের্য়র জন্য অতীতের গবেষণাগুলোতে স্যাটেলাইট মনিটরিং, পানিতে ব্যবহারযোগ্য রোবট এবং জাহাজের সহায়তা নেয়া হয়েছে। গত দশকে আরগো নামে ৪০০০ রোবটের একটি নেটওয়াকের্র মাধ্যমে সমুদ্রের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা এবং অ¤øকরণের নজিরবিহীন তথ্য পাওয়া গেছে। ভিন্ন ভিন্ন মেথডলজি ব্যবহার করে করা চারটি গবেষণা প্রতিবেদন পযাের্লাচনা করেছেন গবেষকরা। নতুন বিশ্লেষণে সামুদ্রিক উষ্ণতার পূণার্ঙ্গ চিত্র তৈরি করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। নতুন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সমুদ্রগুলো এত বেশি পরিমাণ উষ্ণতা শুষে নিতে পারে যে, সেগুলো ঠাÐা হতে কয়েক দশক লেগে যাবে। এ ছাড়া উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিগর্মন সহসা বন্ধ হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সমুদ্রের উষ্ণতা ক্রমাগত বাড়ছে। গবেষক জেকে হাউসফাদার বলেন, ‘পৃথিবীর ভ‚পৃষ্ঠে উষ্ণতার মাত্রার রেকডর্ অনুযায়ী, ২০১৮ সাল ছিল চতুথর্ উষ্ণতম বছর। আর সমুদ্রের উষ্ণতার রেকডর্ বিবেচনা করলে এটি নিশ্চিতভাবে উষ্ণতম বছর। এর আগে, সমুদ্রের উষ্ণতার দিক দিয়ে ২০১৬ সাল ও ২০১৭ সালও উষ্ণতম বছর বিবেচিত হয়েছিল। ভ‚পৃষ্ঠে বেশি উষ্ণ হচ্ছে নাকি সমুদ্র বেশি উষ্ণ হচ্ছে তা বৈশ্বিক উষ্ণতা দিয়ে সহজে শনাক্ত করা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে বায়ুমÐলে যতটুকু অতিরিক্ত এনাজির্ আটকে থাকে, এর ১০ ভাগের ৯ ভাগেরও বেশি অংশ সমুদ্র শুষে নেয়। বিশ্বের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সেটা বড় ভ‚মিকা রাখে। গবেষকদের দাবি, সমুদ্র উষ্ণ হওয়ার কারণে সেখানকার পানির থামার্ল এক্সপানশন হবে। এতে পানির আকার আয়তন বেড়ে যাবে, এর জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে। এ কারণে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে যেতে পারে। তবে বিশ্বের জলবায়ু ব্যবস্থায় অনেকদিন পযর্ন্ত সমুদ্রের ভ‚মিকাকে বিবেচনায় নেয়া হতো না। পযার্প্ত তথ্যের ঘাটতি ও সামুদ্রিক পরিবেশে গবেষণাজনিত জটিলতার কারণে সেটা সম্ভব হতো না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের পুরোপুরি গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। সম্প্রতি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে সমুদ্রের উষ্ণতা-বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।