ঘরপালানো সৌদি তরুণীর ঠঁাই হলো কানাডায়

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন
ঘর ছেড়ে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, কানাডা সব সময় মানবাধিকার ও নারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে দঁাড়ায়। জাতিসংঘ থেকে আল-কুনুনের পক্ষে শরণাথীর্ হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করা হলে আমরা তা গ্রহণ করি। সংবাদসূত্র: বিবিসি নিউজ প্রসঙ্গত, নারী অধিকার ও মানবাধিকার ইস্যুতে সৌদি-কানাডা দ্ব›দ্ব এর আগেও চরমে পেঁৗছেছিল। কানাডার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণাথীির্বষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থাটির হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি বলেন, কিছুদিন যাবৎ আল-কুনুনের দুদর্শা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। তঁার সংকট বিশ্বজোড়া শরণাথীের্দর দুদর্শার কথাই মনে করিয়ে দেয়। এদিকে ইতিমধ্যেই আল-কুনুন টরোন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রধান সুরাহাতে হাকপানের্র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কোরিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে আল-কুনুনকে কানাডায় পাঠানো হয়েছে। পথে কিছু সময়ের জন্য উড়োজাহাজটি সিউলে যাত্রাবিরতি করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা ছাড়াও আরও বেশ কটি দেশ আল-কুনুনকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী। দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। এর আগে, গত শনিবার আল-কুনুন পরিবারে সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর আল-কুনুন দাবি করেন তঁার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে কানেকটিং ফ্লাইট ধরবেন। কিন্তু সুবণর্ভূমি বিমানবন্দরে তঁার পাসপোটর্ একজন সৌদি কুটনীতিক কেড়ে নিয়েছেন। তবে ব্যাংককে থাকা একজন সৌদি মুখপাত্র কুনুনের পাসপোটর্ কেড়ে নেওয়া কিংবা তঁাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন। শুরুতে থাই কতৃর্পক্ষ তঁাকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে বদ্ধপরিকর ছিল। থাই কতৃর্পক্ষ দাবি করেছিল এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা। পরে অবশ্য কুনুনকে সাময়িক ভাবে থাইল্যান্ডে থাকার অনুমতি দেয় দেশটি। ফিরতি টিকিট নেই উল্লেখ করে কুয়েতে ফেরত পাঠানোর জন্য থাই কতৃর্পক্ষ সুবণর্ভূমি বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় একটি হোটেলের কক্ষে রাখে কুনুনকে। ফেরত পাঠানোর জন্য কুনুনকে হোটেলকক্ষ থেকে আনতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ে থাই কতৃর্পক্ষ। ওই তরুণী দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেকে হোটেলকক্ষে আটকে রাখেন। হোটেলকক্ষের দরজার সামনে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিছানার ম্যাট, টেবিল, চেয়ার দিয়ে রাখেন তিনি। হোটেল কক্ষে থেকেই টুইটারে নিজের ছবি ও বক্তব্য পোস্ট করেন আল-কুনুন। তঁাকে ফেরত পাঠালে মেরে ফেলা হবে এমন কথাও বলেন তিনি। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে জাতিসংঘের শরণাথীির্বষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর)।