আসামে কবি শ্রীজাতকে হেনস্তা বিজেপির

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কবি শ্রীজাত
ভারতের আসামের শিলচরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপির নেতাকমীের্দর রোষের শিকার হয়েছেন কলকাতার কবি শ্রীজাত। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বাঙালি অধ্যুষিত শিলচরে অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল শিলচরের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগঠন ’এসো বলি’। স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলার সময় হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা বাসুদেব শমার্ ও তার দলবল। সঙ্গে ছিল বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী দলের আরও কয়েকজন। অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে বিজেপি নেতা হুংকার দিয়ে বলেন, আমাদের কিছু কথা আছে। এরপর কবি শ্রীজাতের একটি ‘ত্রিশূলে কনডম’ কবিতার কয়েকটি লাইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপি নেতা বাসুদেব শমার্র এহেন হুমকি এবং কবিতা নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষেপে যান উদ্যোক্তারা। কথা-কাটাকাটির এক পযার্য় বিজেপির সঙ্গে থাকা গেরুয়া বাহিনীর সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলেই শুরু করে বিক্ষোভ। তবে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) পাহারায় অনুষ্ঠান চালিয়ে যান উদ্যোক্তারা। একপযাের্য় বিক্ষোভকারীরা ইট এবং পাথর ছুড়তে থাকলে বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান। এ সময় বিজেপির নেতা ও কমীর্ সমথের্করা দাবি করেন, ঝামেলা পাকাতে ‘তৃণমূলের দালাল’ কবি শ্রীজাতকে এখানে পাঠানো হয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় নিরাপদের মধ্যে রাখা হয় শ্রীজাতকে। ঘটনার কথা চলে যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কানে। শুনেই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, বিজেপি তো বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ। একনায়কতন্ত্রের ধারক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং অন্যমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেন কলকাতায় ফেরা না পযর্ন্ত শ্রীজাতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার। তারপর এই দুই মন্ত্রী শ্রীজাতের সঙ্গে কথা বলে তার কলকাতা ফেরা নিশ্চিত করেন। সংবাদসূত্র: এনডিটিবি