সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মুরসাল নবিজাদা
আফগানিস্তান সাবেক নারী এমপিকে গুলি করে হত্যা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক এক নারী এমপি ও তার দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। হামলায় তার ভাই ও দ্বিতীয় দেহরক্ষী আহত হয়েছেন। ওই নারী এমপির নিজ বাড়িতেই রোববার হামলার এই ঘটনা ঘটে। নিহত নারী এমপির নাম মুরসাল নবিজাদা। তার বয়স ৩২ বছর। ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যে কয়জন সাবেক নারী এমপি কাবুলে থাকছেন, তার মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। স্থানীয় পুলিশপ্রধান মৌলভি হামিদুলস্নাহ খালিদ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার বিকাল ৩টার দিকে সাবেক ওই আফগান এমপিকে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নবিজাদার ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষীও আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে। খালিদ অবশ্য এই ঘটনার পেছনে রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি হামিদুলস্নাহ। আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুলস্নাহ আবদুলস্নাহ বলেছেন, নবিজাদার মৃতু্যতে তিনি শোকাহত এবং তার আশা, অপরাধীদের শাস্তি হবে। তিনি নিহত নবিজাদাকে 'জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক' হিসেবে উলেস্নখ করেন। সাবেক এমপি মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, নবিজাদা ছিলেন 'আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন'। তিনি লিখেছেন, 'একজন সত্যিকারের পথনির্দেশক, শক্তিশালী, স্পষ্টভাষী নারী যিনি বিপদের মুখেও নিজে যা বিশ্বাস করেছিলেন, তার পক্ষেই দাঁড়িয়েছিলেন।' নবিজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং বেসরকারি গোষ্ঠী মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে জনজীবনের প্রায় সব ক্ষেত্র থেকে নারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা মিশর যাবজ্জীবন কারাদন্ড ৩৮ বিক্ষোভকারীর যাযাদি ডেস্ক মিশরের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় ৩৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এবং এই অভিযোগে রোববার দেশটির এক সামরিক আদালত এই রায় দেন। ২০১৩ সালে সামরিক অভু্যত্থানের মাধ্যমে মোহামেদ মুরসি সরকারকে উৎখাতের পর প্রেসিডেন্ট হন আল-সিসি। এরপর পুলিশের অনুমোদন ছাড়া বিক্ষোভ আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি আইন পাস করা হয়। ২০১৯ সালে আল-সিসি ও সামরিক এলিটদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিশরের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছিল। এগুলো আয়োজনে পুলিশের অনুমোদন ছিল না। সুয়েজ শহরে এমনই এক বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংঘাত উসকে দেওয়ার দায়ে রোববার ৩৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৪৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুও আছে। তাদের পাঁচ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সংবাদসূত্র : ডিডাবিস্নউ নিউজ