অনশন ধমর্ঘটের ডাক আসাম গণপরিষদের

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন-২০১৬ নিয়ে বিজেপি জোট থেকে সরে যাওয়ার পর নতুন করে এ নিয়ে সরব হয়েছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল আসাম গণপরিষদ (এজিপি)। দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই বিলের প্রতিবাদে অনশন ধমর্ঘটে যাবে তাদের এমএলএ বা বিধায়করা। সোমবার এজিপি জানিয়েছে, আগামী ২৪ জানুয়ারি তাদের ১২ জন বিধায়ক ১০ ঘণ্টার অনশন ধমর্ঘট পালন করবেন। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আন্দোলনকারী অন্য দলগুলোর সঙ্গে যোগ দেবেন তারা। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসামে ভারতীয় জনতা পাটির্র জোট থেকে এরইমধ্যে বেরিয়ে গেছে এজিপি। লোকসভায় বিলটি উত্থাপন ও পাসের আগের দিন গত ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির তিন সদস্য। বিলটিতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশকারী অমুসলিমদের নাগরিকত্বের বিধান রাখা হয়েছে। বিরোধীরা বলছে, এই আইনটি ১৯৮৫ সালের আসাম অ্যাকডের্র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূণর্ নয়। ১৯৮৫ সালের আসাম অ্যাকডের্ বলা হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ২৪ মাচর্ থেকে যারা আসামে বাস করছে, তারাই কেবল নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু বিল নিয়ে আসামে তীব্র প্রতিবাদ রয়েছে। রাজ্যের ছয়টি জাতিগত গোষ্ঠীকে শিডিউলড ট্রাইব (তফশিলি উপজাতি) হিসেবে অন্তভুর্ক্ত করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গত ১১ জানুয়ারি বন্?ধ পালন করছে স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনগুলো। আসামের যে ৬টি জনগোষ্ঠীকে সরকার তফসিলি উপজাতির মযার্দা দিতে চাইছে, সেগুলো হলো আহোম, মটক, মরান, চুটিয়া, কোচ-রাজবংশী এবং আদিবাসী তথা চা-সম্প্রদায়। আদিবাসীদের সংগঠনগুলোর জোট দ্য কো-অডিের্নশন কমিটি অব দ্য ট্রাইবাল অগার্নাইজেশনের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রকৃত আদিবাসীদের বঞ্চিত করে ওই ৬ জনগোষ্ঠীকে শিডিউল ট্রাইবস মযার্দা দেয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় আদিবাসীদের আশঙ্কা, এই বিলের ফলে বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। আর এতে করে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে, হুমকিতে পড়বে তাদের নৃতাত্তি¡ক পরিচয়।