কেনিয়ায় হোটেলে জঙ্গি হামলায় নিহত ১৫

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি বিলাসবহুল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে Ñএএফপি
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি বিলাসবহুল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে জঙ্গি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের এ হামলার একদিন পর বুধবার সকালেও ওই কমপ্লেক্সের ভেতরে অন্তত দুই দল লোক আটকা পড়ে আছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী কমপ্লেক্সটি চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং বিক্ষিপ্তভাবে তা চলছিল বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের এক কমর্কতার্। আধা সামরিক বাহিনীর আহত এক কমর্কতাের্ক অ্যাম্বুলেন্সযোগে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার পর অন্তত চারজন বন্দুকধারী অভিজাত ওই হোটেল কমপ্লেক্সটিতে হামলা শুরু করে। প্রথমে পাকির্ং এলাকায় একটি বিস্ফোরণ ঘটে এরপরই হোটেলের হলরুমটিতে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরিত হয়। সংবাদসূত্র: রয়টাসর্ হতাহতদের অনেক হোটেলের ‘সিক্রেট গাডের্ন’ রেস্তরঁায় খাবার খাচ্ছিলেন এবং তাদের অনেকের দেহই খাবারের টেবিলের নিচে পড়ে ছিল। মগের্র কমীর্রা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জন কেনীয়, একজন মাকির্ন ও একজন ব্রিটেনের নাগরিক; নিহত অপর দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমালি জঙ্গিগোষ্ঠী আলশাবাব এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এলজি ইলেকট্রনিক্সের মাকেির্টং এক্সিকিউটিভ হিরাম মাচেরিয়া জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর নিরাপত্তা কমর্কতার্রা তাকে ও তার কয়েকজন সহকমীের্ক তাদের অফিস থেকে উদ্ধার করে। পরে তিনি জানাতে পারেন তার এক সহকমীর্ মারা গেছেন। আমাদের এক সহকমীর্ ভবনের উপরে গিয়েছিলেন, পরে সেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মাতিয়াঙ্গি ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ আছে বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু রাতে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ তার ওই দাবিকে প্রমাণ করেনি বলে জানা গেছে। তার এ ঘোষণায় ভেতরে আটকা পড়াদের উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে বাতার্ সংস্থাটি। ভেতরে আটকা পড়াদের কয়েকজন বাতার্ পাঠিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছেন বলে জানা গেছে। জরুরি বিভাগের ওই কমর্কতার্ জানিয়েছেন, সকাল ৭টার আগেও অন্তত দুটি দল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে আটকা পড়েছিলেন। অনেকেই মগের্ ও হোটেলে কাছে জড়ো হয়ে তাদের নিখেঁাজ স্বজনদের খেঁাজ করছিলেন।