কণার্টকে টলমলে সরকার

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কণার্টকে কংগ্রেস ও জনতা দলের জোট সরকারের অবস্থা টলমলে। সরকারকে সমথর্ন জানানো দুই স্বতন্ত্র বিধায়ক সমথর্ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। চেষ্টা চলছে আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জনকে বের করার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ধমির্নরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) এইচ ডি কুমারস্বামীর বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া বলেছেন, বিজেপি চেষ্টার অন্ত রাখছে না। সরকার বঁাচাতে এখন ঈশ্বরই ভরসা। যে দুই স্বতন্ত্র বিধায়ক সমথর্ন তুলে নিয়েছেন তারা হলেন এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর। তারা সমথর্ন প্রত্যাহার করায় ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ১১৬। আরও ৪ জন সমথর্ন তুললে জোট সরকার গরিষ্ঠতা হারাবে। রাজ্য কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, দলের কয়েকজন বিধায়ককে মুম্বাইয়ের হোটেলে বিজেপি আটকে রেখেছে। বিজেপি নেতারা পাল্টা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছেন। বাধ্য হয়ে বিজেপি তাদের বিধায়কদের রাজ্য থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিজেপির বিধায়কেরা দল বেঁধে ঘঁাটি গেড়েছেন দিল্লির পাশে হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক রিসোটের্। কুমারস্বামী যদি?ও নিবির্কার। তিনি বলেছেন, দুজন সমথর্ন তুলে নিলেও সরকার পতনের আশঙ্কা নেই। বিজেপির মোট বিধায়ক ১০৪। সরকার গড়তে তাদের প্রয়োজন আরও অন্তত ৯-১০ জনের সমথর্ন। লোকসভার ভোটের আগে তারা এই কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে। সফল হলে ভালো, না হলে অস্থিরতার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে নতুন নিবার্চনের দাবি জানাতে পারবে। একই সঙ্গে এই বাতার্ও তারা দিতে পারবে, দেশ ও রাজ্য চালাতে বিরোধীরা ব্যথর্। কণার্টক পরিস্থিতিকে লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দৃঢ়’ নেতৃত্বের বিজ্ঞাপন হিসেবেও বিজেপি ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি, বিরোধী ঐক্যেও দেয়া যাবে একটা বড় ধাক্কা।এদিকে, লোকসভা নিবার্চনকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কমীর্ থেকে সমথের্করা। সব দলই চাইছে তাদের নেতানেত্রীরা এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোক। বিজেপি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ আগেভাগেই বতর্মান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে। কিন্তু বিরোধী দল বা জোটের কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ, তা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি বিরোধী দল বা প্রস্তাবিত বিরোধী জোট। সংবাদসূত্র: এনডিটিভি