যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য বগল বাজাচ্ছেন পুতিন!

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ‘শাটডাউন’, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে টালমাটাল। আর এসব ঘটনায় বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধাানমন্ত্রী থেরেসা মে যত বেকায়দায়, ততই আনন্দে আত্মহারা হচ্ছেন পুতিন। মাকির্ন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক বিশ্লেষণে এই অভিমত দিয়েছে। সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য একসময় বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্র উচ্ছেদে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে। স্নায়ুযুদ্ধের ওই সময়ে পৃথিবী ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ছিল সমাজতন্ত্র, আরেকদিকে পুঁজিবাদ। সেই ঠোকাঠুকিতে দুই পক্ষই আশপাশের দেশগুলোতে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। সিএনএন বলছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আনন্দ ও স্বস্তি ছিল দেখার মতো। সোভিয়েতের পতনের পর প্রায় দুই দশক বৈশ্বিক রাজনীতি ও অথর্নীতি শাসন করেছে এই দুটি দেশ। ইরাকযুদ্ধে মিত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই ‘দোস্তি’ দেখা গেছে পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বিকাশেও। এ ক্ষেত্রেও দুই দেশ কঁাধে কঁাধ মিলিয়ে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে গেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার যেন পুনজার্গরণ ঘটেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজের দেশের অথর্নীতির আসল অবস্থা বিশ্বকে জানতে দেন না পুতিন। গত বছরের নিবার্চনে জয়ের পর একনায়ক হিসেবে নিজের ভিত আরও শক্ত করেছেন পুতিন। এখন আগের সোভিয়েত আমলের ‘প্রভাব’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে যাদের কাছ থেকে বাধা আসার কথা, তারাই পড়ে গেছে বেকায়দায়। ফলে কঠিন কাজটি বেশ সহজ হয়ে গেছে পুতিনের। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের আপত্তি সত্তে¡ও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তভুর্ক্ত করে ফেলেছেন পুতিন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় পোয়াবারো পুতিনের। গোল করতে এখন যে আর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়তেই হবে না! লেজেগোবরে অবস্থা যুক্তরাজ্যেরও। যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ব্রিটিশ মুলুকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। লোকরঞ্জনবাদী ব্যক্তিগত ক্যারিশমা দেখিয়ে ট্রাম্প-থেরেসা দেশের নেতা বনে গেলেও, নেতৃত্বে সফল হতে পারছেন না। নিজেদের দেশেই যাদের এই অবস্থা, তারা বিশ্ব রাজনীতির খেলায় আর কি নৈপুণ্য দেখাবেন!