বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিপুরায় ধাক্কা খেল সিপিএম

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল রাজ্য সিপিএম। রাজ্যের কৈলাশহর আসনের সিপিএমের সাবেক বিধায়ক মবশ্বর আলী মনোনয়ন না পেয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর বিজেপিও তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। যদিও এতে আইনি সমস্যা দেখিয়ে বাদ সেঁধেছে সিপিএম।

উত্তর-পূর্ব ভারতের বাঙালি অধু্যষিত ত্রিপুরা রাজ্যের ৬০ আসনের বিধানসভার নির্বাচন ১৬ ফেব্রম্নয়ারি। নির্বাচনে বামফ্রন্ট জোট করেছে কংগ্রেসের সঙ্গে। আর সেই নির্বাচন ঘিরে এবার উত্তপ্ত হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতি।

ত্রিপুরা বিধানসভার সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে কৈলাশহর থেকে জিতেছিলেন বামফ্রন্টের শরিক দল সিপিএমের প্রার্থী মবশ্বর আলী। কিন্তু গত নির্বাচনে বিজেপি জেতায় মবশ্বর আলী বিরোধী দলে থেকে তার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু এবার কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের নির্বাচনী জোট হওয়ায় কৈলা আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসকে। আর এতে অসন্তুষ্ট হন বাম বিধায়ক মবশ্বর আলী। তিনি রাগে-ক্ষোভে অবশেষে দিলিস্নতে গিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বিজেপিও লুফে নেয় মবশ্বর আলীকে।

সোমবার ছিল ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওইদিন দলের কথা না মেনে বিজেপির তরফে কৈলা কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দেন মবশ্বর আলী। আর এ ঘটনার পর সিপিএমসহ বামফ্রন্ট দাবি তুলেছে, অবিলম্বে বাতিল করা হোক মবশ্বর আলীর মনোনয়নপত্র। কারণ, মবশ্বর আলী দল ছাড়েননি, দল থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়নি। তাই আইনি বাধ্যবাধকতায় তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন না।

ত্রিপুরার শাসনক্ষমতায় এখন বিজেপি। ২০১৮ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির তরুণ নেতা বিপস্নব দেব। কিন্তু ক্ষমতাগ্রহণের পর নানা ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিপস্নব দেব। এরপর বিজেপি তাকে গত বছরের ১৫ মে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান বিজেপি নেতা মানিক সাহাকে। আর রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করা হয় বিপস্নব দেবকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরার বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। রাজ্য বিধানসভার ৬০ আসনে নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রম্নয়ারি আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে