পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহুর মন্তব্য

বাশার থাকবেন, কিন্তু ইরানকে সিরিয়া ছাড়তে হবে

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০৬

যাযাদি ডেস্ক
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু (বামে)
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করবে না বলে রাশিয়াকে জানিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু ইরানি বাহিনীগুলোকে সিরিয়া ছাড়তে মস্কোর উৎসাহিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। বুধবার মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এসব বলেন। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্ এএফপি অনলাইন পরিচয় প্রকাশ না করার শতের্ ইসরাইলি ওই কমর্কতার্ বলেন, ‘বাশার সরকারকে স্থিতিশীল করতে সক্রিয় আগ্রহ দেখাচ্ছে তারা (রাশিয়া), আর আমরা চাই, ইরানিদের বের করে দিতে। আমরা বাশার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না’Ñ পুতিনকে নেতানিয়াহু এমনটিই বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু নেতানিয়াহু পুতিনকে এমনটি বলেছেন বলে স্বীকার করেননি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ডেভিড কিস। সিরিয়ার বিষয়ে ইসরাইলি নীতি সংক্ষেপে তুলে ধরার অনুরোধ করা হলে কিস বলেন, ‘ওই গৃহযুদ্ধে আমরা জড়াব না। তবে আমাদের বিরুদ্ধে যারাই তৎপরতা চালাবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেব।’ তবে ওই ইসরাইলি কমর্কতার্ জানিয়েছেন, ইরানিদের গোলান মালভ‚মি থেকে দূরে রাখতে রাশিয়া কাজ করে যাচ্ছে এবং ইরানিদের গোলান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের দাবি এর চেয়ে বেশি কিছু। ইসরাইল চায় মিলিশিয়া বাহিনীগুলোসহ ইরানি বাহিনীগুলো পুরোপুরি সিরিয়া ছেড়ে চলে যাক। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ২০১৫ সালে রাশিয়া সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করার পর থেকে ওই যুদ্ধের মোড় বাশারের পক্ষে ঘুরে যায়। কিন্তু রাশিয়া আসাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করা ইরানি বাহিনীগুলো ও ইরান সমথির্ত লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের অবস্থান ও অস্ত্রের চালানের ওপর ইসরাইলি হামলাগুলোর বিষয়ে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে আসছে। রাশিয়া ও ইরানের সক্রিয় সমথের্ন প্রেসিডেন্ট বাশার সিরিয়ার গুরুত্বপূণর্ এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করে সেসব স্থানে অবস্থান দৃঢ় করে তুলেছেন। সম্প্রতি বাশারের বাহিনীগুলো ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভ‚মির নিকটবতীর্ অঞ্চলে অবস্থানরত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এতে উচ্চ সতকার্বস্থায় আছে ইসরাইলি বাহিনী। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভ‚মির অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছিল ইসরাইল। পরে গোলানকে নিজেদের সীমানাভুক্ত করে নিয়েছে, যদিও ইসরাইলের এ পদক্ষেপ আন্তজাির্তক স্বীকৃতি পায়নি।