আদানি ইসু্যতে ফের উত্তপ্ত ভারতের লোকসভা

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
আদানি ইসু্যতে মঙ্গলবার আবারও উত্তপ্ত হলো ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা। এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি তুলে ধরে পার্লামেন্টে সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর আগে পরপর তিন দিন মুলতবি হয়ে গেছে দুইকক্ষের অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারও লোকসভায় রাহুল গান্ধী সরব হলেন এই বিতর্কে। জানতে চাইলেন, মোদি ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক। কিন্তু তাকে থামিয়ে দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দিলেন, অধিবেশন কক্ষের ভেতর 'পোস্টারবাজি' চলবে না। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস রাহুলের প্রশ্ন, কীভাবে সব ব্যবসাতেই ঢুকে পড়ে আদানি গোষ্ঠী? প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক ঠিক কী? রাহুলের দাবি, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় যেখানেই তিনি গেছেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সবখানেই একটিই নাম শুনেছেন- 'আদানি, আদানি ও আদানি'। মঙ্গলবার লোকসভায় রাহুল বলেন, 'তামিলনাড়ু থেকে কেরালা, কেরালা থেকে হিমাচল প্রদেশ, আমরা একটাই নাম শুনে এসেছি। সেটা হলো, আদানি, আদানি...। মানুষ আমার কাছে জানতে চাইছেন, কীভাবে প্রতিটি ব্যবসায় আদানিরা ঢুকে যান এবং প্রতিটিতেই ওই শিল্পগোষ্ঠী সফল হয়?' আদানি ইসু্যতে বিজেপির অবস্থান পরিষ্কার। দলীয় নেতাদের এক বার্তায় বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থা-কেন্দ্রিক। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও শেয়ার বাজারের ওঠানামার কোনো সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আদানিদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে তা শেয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) নেবে। যদিও পার্লামেন্টে আদানি-ইসু্যতে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেনই। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত। এ নিয়ে রাহুল আবার মোদি ও আদানির ছবি তুলে ধরে লোকসভায় বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আদানিদের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু... একজনই কাঁধে কাঁধে রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন। উনি (গৌতম) মোদির অনুগত থেকেছেন এবং নতুন করে গুজরাটকে সাজানোর ভাবনা মোদির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।' একটু থেমে রাহুলের সংযুক্তি, 'আসল জাদু শুরু ২০১৪ সালে। যখন মোদি দিলিস্ন পৌঁছে গেলেন।'