কলকাতার মমতার সমাবেশে মোদিকে হটানোর প্রতিজ্ঞা

হ প্রধানমন্ত্রীর অভাব নেই বিজেপির কটাক্ষের জবাবে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হটানোর লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে শনিবার কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপিবিরোধী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় Ñপিটিআই
কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শনিবার রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে মোদিকে হটানোর লক্ষ্যে এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এই মহাসমাবেশের। এতে যোগ দেয়া বিজেপিবিরোধী অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা মোদিকে হটাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। সংবাদসূত্র: এনডিটিভি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, এই সমাবেশ থেকে মোদি সরকারকে হটানোর ডাক দেয়া হয়েছে। উনিশের লোকসভা নিবার্চনের মধ্য দিয়ে আর ফিরতে দেয়া হবে না মোদিকে। ভারতে আসবে ধমির্নরপেক্ষ এক গণতান্ত্রিক সরকার। এই সমাবেশেই বিজেপির প্রতীকী ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজান তৃণমূল নেত্রী মমতা। এর আগে ১৯৯৩ সালে যুব কংগ্রেসের নেত্রী থাকার সময় বামফ্রন্ট সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে এমনই এক ব্রিগেডে মমতা বাজিয়েছিলেন মৃত্যুঘণ্টা। যদিও তার অনেক পরে, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাট থেকে বিদায় নিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। শনিবারের এই সমাবেশে বিজেপিবিরোধী নেতারা একে একে সবাই যোগ দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কণার্টকের জনতা দল (সেক্যুলার) নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, এই দলেরই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, কংগ্রেস নেতা মল্লিকাজুর্ন খাড়গে ও সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পাটির্র নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের অন্যতম নেতা তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের নেতা এমকে স্টালিন, বিহারের লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শারদ যাদব, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পাটির্র নেতা শারদ পাওয়ার, ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির বিদ্রোহী নেতা যশোবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরি, ঝাড়খÐের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খÐ বিকাশ মোচার্র নেতা বাবুলাল মারান্ডি, অরুণাচলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত, বহুজন সমাজপাটির্র নেতা সতীশ মিশ্র, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত, গোখার্ জনমুক্তি মোচার্র নেতা বিনয় তামাংসহ অনেকে। এর আগে মহাসমাবেশে যোগ দিতে আগের দিনই কলকাতায় পেঁৗছে যান বহু নেতা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই মহাসমাবেশে যোগ দিতে না পারলেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতাকে। সেই সঙ্গে সাফল্য কামনা করেছেন এই মহাসমাবেশের। সব মিলিয়ে ২২টি বিজেপিবিরোধী দলের নেতাদের এতে যোগ দেয়ার কথা আছে। তবে বাম দল ঘোষণা দিয়েছে, তারা কেউ থাকবেন না এতে। এদিকে, এই সমাবেশকে ঘিরে গোটা পশ্চিমবঙ্গের সবর্ত্র ঢেকে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের বড় বড় তোরণ আর পোস্টার-ব্যানারে। সড়কের মাঝে তোলা হয়েছে বিরাট বিরাট তোরণ। এবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৈরি করা হচ্ছে ৫টি মঞ্চ। একটিতে বসেন মমতাসহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা ও মন্ত্রীরা। আরেকটিতে বসেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা। তৃতীয় মঞ্চে তৃণমূলের বিভিন্ন জেলার নেতারা। আর দুটি মঞ্চে সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। ৭০০টি আয়রন রড দিয়ে গড়া হয়েছে এই মঞ্চ। বিভিন্ন রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকমীের্দর অভ্যথর্না জানানোর জন্য ২০০টি ক্যাম্প ব্যবস্থা করা হয়েছিল।