ফেব্রæয়ারিতে দ্বিতীয় বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প-কিম

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উন
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীষর্ নেতা কিম জং উনের মধ্যে বহুল আকাক্সিক্ষত দ্বিতীয় শীষর্ বৈঠক ফেব্রæয়ারির শেষদিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে দুই নেতার মধ্যে হওয়া ঐতিহাসিক প্রথম বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রæতি দিয়ে এসেছিল। ওই বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের অসন্তুষ্টির মধ্যেই নতুন আরেকটি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মাকির্ন প্রেসিডেন্ট উত্তরের শীষর্ নেতার ‘ডানহাত’ খ্যাত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরপরই হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। সংবাদসূত্র: বিবিসি নিউজ মাকির্ন গণমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবারের বৈঠকে চোল ট্রাম্পকে উত্তরের নেতা কিমের একটি চিঠি দিয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সুনিদির্ষ্ট সময় ও স্থান জানা না গেলেও ট্রাম্প-কিমের নতুন এ বৈঠকটি ভিয়েতনামে হতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে চোলের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডাসর্ বলেছেন, নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে। সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সমঝোতা হলেও নিরস্ত্রীকরণের উপায় ও সময়সীমা সুনিদির্ষ্ট না হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই বৈঠকটির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কয়েক মাস ধরে দুই দেশের সম্পকের্ স্থবিরতা ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে টানাপড়েন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ট্রাম্প অবশ্য অনেক দিন ধরেই আরেকটি বৈঠকের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে আসছিলেন। অন্যদিকে, একই সময়ে বিশ্ব পরিমÐলে নিজের ভাবমূতির্ আরও উজ্জ্বল করেছেন কিম। দক্ষিণের সঙ্গে ক‚টনৈতিক টানাপড়েন নিরসনে নিয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূণর্ উদ্যোগ। একবছরে চারবার চীন সফর করে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এনেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত মাকির্ন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পিয়ংইয়ং একটি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। তবে এরপরও ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পায়নি তারা। এ নিয়ে অসন্তোষও দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে কারণে ফেব্রæয়ারির বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও নিরস্ত্রীকরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা নিয়েই কথা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পকের্রও উন্নতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে একাধিকবার চীন সফর করেছেন কিম জং-উন। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের বৈঠকটিকে ঐতিহাসিক বলা হয়, কারণ বহু আলোচনার পর বৈঠকটি অন্তত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে তা খুব কাযর্কর কিছু হয়নি। চুক্তিটি ছিল অস্পষ্ট। চুক্তিতে এ ব্যাপারে নিধাির্রত কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি। কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, সে সম্পকের্ও কোনো তথ্য ছিল না। দ্বিতীয় বৈঠকের ব্যাপারে অনেকে আশা করছেন, সুনিদির্ষ্ট কিছু বেরিয়ে আসবে। প্রথম বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া আর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি।