আরাকান আমির্র ঘঁাটির দখল নিল মিয়ানমার

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আমির্র একটি অস্থায়ী ঘঁাটির দখল নিয়েছেন দেশটির সরকারি বাহিনী। বুধবার সেনাবাহিনী ওই ঘঁাটির পঁাচ সদস্যকে হত্যা করে এর দখল নেয়। এই ঘঁাটির অবস্থান রাখাইনের বুথিডং এলাকায়। শুক্রবার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমার টাইমস। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা আরাকান আমির্র একটি সাময়িক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ৫০ সদস্যের ওই ঘঁাটি থেকে ৩০টির বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়নি। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আরাকান আমির্র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর ওই অভিযানের সময় তারা সেখানে গুলিবষর্ণ ও বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। ইই থান শোয়ে নামের এক ব্যক্তি জানান, অনেকে শহরে পালিয়ে গেছে। কিন্তু কিছু লোকজন সেনাবাহিনী ও আরাকান আমির্র মধ্যকার সংঘষের্র মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা প্রায় প্রতিদিনই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এদিকে, আরাকান আমির্র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নিদের্শ দিয়েছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আমির্র (আরসা) হামলার পর পূবর্পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধষর্ণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বঁাচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও গণহত্যার অভিযোগ এনেছে আন্তজাির্তক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ।