যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী নারী পদযাত্রায় মুখরিত রাজপথ

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী নারী আন্দোলনের তৃতীয় বষর্পূতির্ উপলক্ষে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ‘নারী পদযাত্রা’য় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নারী। হোয়াইট হাউস থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থান করেই প্রেসিডেন্ট বিরোধী একের পর এক ¯েøাগানে মুখরিত থাকতে দেখা যায় তাদের। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারীদের নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে হরহামেশাই নিজেকে বিতকের্ জড়িয়েছেন ট্রাম্প Ñরয়টাসর্
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত ‘নারী পদযাত্রা’য় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা। হোয়াইট হাউস থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থান করেই ট্রাম্পবিরোধী একের পর এক ¯েøাগান দিয়ে গেছেন তারা। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ পদযাত্রায় সরব ছিলেন মুসলিম নারীরাও। মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য বন্ধ করতে ট্রাম্পের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম, আফ্রিকান আমেরিকানসহ সব প্রান্তিক গোষ্ঠীর অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিও জোরালো হয়েছে তাদের কণ্ঠে। সংবাদসূত্র: মিডল ইষ্ট আই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার একদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথ সরব হয়েছিল নারীদের প্রতিবাদী মিছিলে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত দুই লাখ নারীর সেই মিছিল থেকে ট্রাম্পকে দেয়া হয়েছিল প্রত্যাখ্যানের বাতার্। ২০১৮ সালেও একইভাবে নেমেছিলেন নারীরা। ঘটনার তৃতীয় বষর্পূতির্ উপলক্ষে শনিবার আবারও নারীর কণ্ঠস্বরে সরব হয় সে দেশের রাজপথ। বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত মধ্যবতীর্ নিবার্চনে ঐতিহাসিক সাফল্য অজির্ত হয়েছিল নারীদের। সেই সাফল্য উদযাপন এবারের মিছিলের অন্যতম লক্ষ্য। তবে সব থেকে বড় টাগের্ট ২০২০ সালের নিবার্চন। প্রেসিডেন্ট নিবার্চনকে সামনে রেখে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে চায় নারীরা। প্রভাবিত করতে চায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নীতিগত সিদ্ধান্তকে। ‘নারী পদযাত্রা’য় মুসলিম বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি আলাদা করে অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। সহ-বিভেকারীরা প্রশংসা করেছেন তাদের। কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর) এর ব্যবস্থাপক জিনান শাবাত বিক্ষোভকারীদের দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন। যুদ্ধবিরোধী নারী সংগঠন কোড পিংকের সদস্যরাও শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। তারা ট্রাম্পকে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহŸান জানান। কোড পিংকের সহ প্রতিষ্ঠাতা মেডিয়া বেঞ্জামিন বলেন, বিদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের বিরোধিতা করাটাও একটি নারী ইস্যু। কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধে নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়। পুরুষ সদস্যরা যুদ্ধে গেলে নারীদেরকেই পরিবার সামলাতে হয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সামরিক খাতে বরাদ্দ বেশি দেয়ার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে যায়। এক্ষেত্রে নারীদেরকে বেশি ভুক্তভোগী হতে হয়। উল্লেখ্য, সেই নিবার্চনী প্রচারণার সময় থেকেই ধারাবাহিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, নারীবিদ্বেষী বিভিন্ন মন্তব্য এবং প্রতিদ্ব›দ্বী প্রাথীর্সহ বিভিন্ন নারীর বিরুদ্ধে যৌন-নিপীড়নমূলক ভাষা ব্যবহারের নজির দেখা যায় ট্রাম্পের মধ্যে। সরাসরি ধষের্ণর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অতীতের আর কোনো মাকির্ন প্রেসিডেন্টের বেলায় নারী-বৈরিতার এমন নজির দেখা যায়নি। সে কারণেই ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পরই আশঙ্কা তৈরি হয়, তার শাসনামলে নারীবিদ্বেষ আরও বেশি করে অনুমোদিত সংস্কৃতিতে পরিণত হবে। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাকির্ন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের রাজপথ দখলে নিয়েছিল নারীরা। অভ‚তপূবর্ সেই ‘নারী পদযাত্রা’ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। পরের বছর ২০১৮ সালে ট্রাম্পবিরোধী ¯েøাগানে মুখরিত হয় ওয়াশিংটনসহ নিউ ইয়কর্, লস অ্যাঞ্জেলস ও ফিলাডেলফিয়ার রাজপথ। ২০১৮ সালের মধ্যবতীর্ নিবার্চনের সময় ভোটারদের কাছে যেতেও দেখা গেছে নারী মিছিলের সংগঠকদের। নিবার্চনে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল নারীরা। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে ১০২ জন নারী এবং সিনেটর হিসেবে ২৫ জন নারী শপথ নিয়েছিলেন। প্রথম মুসলিম নারী প্রতিনিধিও পেয়েছে কংগ্রেস। মিশিগান ও মিনেসোটা থেকে কংগ্রেস সদস্য নিবাির্চত হয়েছেন রশিদা তালিব ও ইলহান ওমর।