লিবিয়া উপক‚লে নৌকা ডুবে ১১৭ শরণাথীর্র মৃত্যু

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে আফ্রিকার শরণাথীের্দর একটি নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান উপকূলীয় এলাকা। ডুবুরিদের উদ্ধার করা পোশাকগুলো প্রিয়জন হারানো স্বজনদের কাছে এখন কেবলই স্মৃতির মরীচিকা Ñসিনহুয়া
ভ‚মধ্যসাগরে লিবিয়া উপক‚লে আফ্রিকার শরণাথীের্দর একটি নৌকা ডুবে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার জাতিসংঘ শরণাথীির্বষয়ক সংস্থা উদ্ধার পাওয়া শরণাথীের্দর বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে। ইতালির নৌবাহিনী ডুবে যাওয়া নৌকার তিন শরণাথীের্ক সমুদ্র থেকে উদ্ধার করার পর ভয়বাহ এ দুঘর্টনার কথা জানা যায়। বেঁচে ফেরা এ তিন শরণাথীর্র দুজন সুদানি এবং একজন গাম্বিয়ার নাগরিক। তারাই ত্রাণকমীের্দর নিহত শরণাথীের্দর ওই সংখ্যা জানায়। সাম্প্রতিক সময়ে এটিই ভ‚মধ্যসাগরে নৌকা ডুবে শরণাথীের্দর প্রাণহানির সবচেয়ে বড় ঘটনা। জাতিসংঘ শরণাথীর্ সংস্থার মুখপাত্র ফোনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নৌকায় ১০ জন নারী ছিল বলে আমাদের জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা। সেখানে দুই শিশুও ছিল, একজনের বয়স ছিল মাত্র দুই। উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শরণাথীর্রা লিবিয়া হয়ে ভ‚মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে জীবনের ঝঁুকি নিয়ে ছোট্ট ছোট্ট নৌকায় গাদাগাদি করে সমুদ্র পাড়ি দেয় তারা। বৃহস্পতিবার রাজধানী ত্রিপলির পশ্চিমের উপক‚লীয় শহর গারাবুল্লি থেকে ছোট্ট একটি ঝুঁকিপূণর্ ডিঙিতে করে রওয়া হয়েছিল ওই শরণাথীর্রা। যাত্রার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর নৌকা ফুটো হয়ে পানি ঢোকা শুরু হয় এবং একপযাের্য় সেটি ডুবে যায়। ইতালির নৌবাহিনী জানায়, তাদের একটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা হেলিকপ্টার যখন নৌকাটি দেখতে পায় তখন সেটি ডুবতে শুরু করেছে। তারা সবোর্চ্চ ২০ জনকে নৌকায় দেখতে পেয়েছিল। মুমূষুর্ অবস্থায় মাত্র তিনজনকে উদ্ধার করে তারা লাম্পেদুসা দ্বীপে নিয়ে যায়। উদ্ধার ব্যক্তিরা হাইপোথারমিয়ায় ভুগছিল। তাদের শরীরে পোড়া ক্ষত ছিল এবং তারা আতঙ্কিত ছিল বলে জানান উদ্ধারকমীর্রা। এক বিবৃতিতে হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্দি বলেন, ২০১৮ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা সব দেখে চোখ বুঝে থাকতে পারি না। এর আগে ভূমধ্যসাগরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমানায় ৫৩ জন আরোহীসহ এক নৌকা নিখেঁাজের খবর পাওয়া যায়। কয়েকদিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও এখনও সাফল্য পাওয়া যায়নি। আন্তজাির্তক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র ফ্ল্যাভিও দি গিয়াসোমো বলেন, বেঁচে ফেরা তিনজন জানিয়েছেন জাহাজে প্রায় ২০০ আরোহী ছিলেন। তারা লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ইতালিয়ান বাহিনী দুটি নৌকা ফেলে তাদের উদ্ধার করে। বতর্মানে হাসপাতালে রয়েছেন তারা। এর আগে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২০১৭ সালে প্রায় তিন হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। একে শরণাথীের্দর জন্য সবচেয়ে বিপদজনক পথ মনে করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে থেকে এখন পযর্ন্ত ৩৪ হাজার অভিবাসী এই পথে ডুবে মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ রয়েছে।সংবাদসূত্র: রয়টাসর্