রাশিয়া উপক‚লে দুই জাহাজে আগুন, নিহত ১৪

একটি থেকে অপরটিতে জ্বালানি লোড করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়, জাহাজ দুটির একটি ছিল প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী অপরটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার; এতে ভারতীয়, তুকির্সহ ৩১ জন আরোহী ছিল। দুটি জাহাজই তাঞ্জানিয়ার পতকাবাহী, জাহাজ থেকে ঝঁাপিয়ে পড়ে কয়েকজন নাবিক নিজেদের বঁাচাতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত সাগর থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যবতীর্ কেচর্ প্রণালিতে দুটি জাহাজে লাগা আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দঁাড়িয়েছে। রাশিয়ার জরুরি বিভাগের বরাতে এমনটি জানিয়েছে বাতার্ সংস্থা তাস। আগুন লাগা জাহাজ দুটির মধ্যে ভারতীয়, তুকির্ ও লিবীয় ক্রু সদস্য ছিল বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)। ভারতীয় সংবাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাশিয়ার জলসীমায় জাহাজ দুটিতে আগুন লাগে। দুটি জাহাজই তাঞ্জানিয়ার পতকাবাহী। একটি জাহাজ তরল প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী (এলএনজি), অপরটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার। একটি জাহাজ থেকে অপরটিতে জ্বালানি লোড করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। এর মধ্যে ক্যান্ডি নামের একটি জাহাজে ১৭ জন ক্রু সদস্য ছিল। এদের ৯ জন তুরস্কের নাগরিক ও অপর আটজন ভারতের নাগরিক। মায়েস্ত্রো নামের অপর জাহাজটিতে ১৫ জন ক্রু সদস্য ছিল। তাদের সাত জন তুরস্কের, সাতজন ভারতের ও অপর একজন লিবীয় বলে রাশিয়ার মেরিটাইম কতৃর্পক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বাতার্ সংস্থা তাস। রাশিয়ার মেরিটাইম এজেন্সির মুখপাত্র বলেছেন, সম্ভবত একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে (একটি জাহাজে)। এরপর আগুন অন্য জাহাজেও ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারকারী একটি টাগবোট ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে। জাহাজ দুটি থেকে ঝঁাপিয়ে পড়ে কয়েকজন নাবিক নিজেদের বঁাচাতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত সাগর থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় নাবিক নিখেঁাজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেরিটাইম এজেন্সির মুখপাত্র। আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘœ ঘটার কথা জানিয়েছে গণমাধ্যম। কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরকে সংযোগকারী কেচর্ প্রণালি রাশিয়া ও ইউক্রেনের একটি প্রধান জলপথ। উভয় দেশের জন্যেই এ জলপথটি কৌশলগতভাবে অনেক গুরুত্বপূণর্। কেচর্ প্রণালী পশ্চিমের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে পৃথক করে পূবের্র রাশিয়ার ক্রাসোডার ক্রাইয়ের তনান উপদ্বীপ ও কৃষ্ণসাগর এবং আজব সাগরকে যুক্ত করেছে। কৃষ্ণ সাগর থেকে আজোভ সাগরে জাহাজ চলাচলের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েরই সমুদ্রন্দর আছে সেখানে। গত বছরের নভেম্বরে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপকূলে ইউক্রেন নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ আটক করে রাশিয়া। এ নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়াসংবাদসূত্র: রয়টাসর্