মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের রেকডর্ :গোপন প্রতিবেদন

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গত ৪৫ বছরে ভারতে বেকারত্বের হার সবোর্চ্চ পযাের্য় পেঁৗছেছে। ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সাভের্’ অফিসের এক গোপন জরিপ প্রতিবেদনে ২০১৭-১৮ অথর্বছরে বেকারত্বের এই চিত্র ফুটে উঠেছে। ভারতের ‘বিজনেস স্ট্যান্ডাডর্’ পত্রিকার হাতে পেঁৗছেছে দেশটির কমর্সংস্থানের এই তথ্য এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জরিপের সেই ‘গোপন’ রিপোটর্। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ সালে ভারতে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ, যা গত ৪৫ বছরে সবোর্চ্চ। এই রিপোটর্ প্রকাশ না করা নিয়েই গত কয়েক দিন ধরে চলছিল বিতকর্। অনুমতি থাকা সত্তে¡ও এই রিপোটর্ প্রকাশ না করায় বুধবারই পদত্যাগ করেছেন ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশন’ (এনএসসি) বা জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানসহ দুই সদস্য। বিষয়টি নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই রিপোটর্ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের হাতেই। কখন প্রকাশ করা হবে, সেই সিদ্ধান্তও আমরাই নেব।’ সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ রিপোটের্ দেখা যাচ্ছে, ভারতে বেকারত্বের হার এখন আক্ষরিক অথের্ই আকাশচুম্বী। গ্রামের চেয়ে শহরাঞ্চলেই বেকারত্বের হার অনেক বেশি। ভারতের গ্রামে বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ, সেখানে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার পেঁৗছেছে ৭.৮ শতাংশে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশে বেকারত্বের হার গত ছয় বছরে ২.২ শতাংশ থেকে বেড়ে দঁাড়িয়েছে ৬.১ শতাংশে। অন্যদিকে, পুরো ভারতের যুবসমাজের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দঁাড়িয়েছে ২৭ শতাংশে। ২০১৬ সালে মোদি সরকার কতৃর্ক নোট বাতিল ঘোষণা করার পর এটিই প্রথম সরকারি জরিপ। বেকারত্ব বাড়ছে, দেশটির বিরোধীরা লাগাতার এই অভিযোগ তুললেও সেই সংক্রান্ত কোনো সরকারি রিপোটর্ এতদিন সামনে আসেনি। এই রিপোটর্ প্রকাশ নিয়েও বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে টালবাহানা। এর আগে গড় জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ উঠেছিল, সংশোধনের নামে মনমোহন সিং আমলের জিডিপি কমিয়ে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ফুলিয়ে ফঁাপিয়ে মোদি শাসনামলের জিডিপি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। ‘নীতি আয়োগ’র মতো সংস্থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এরপর রিজাভর্ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রেও উঠেছিল কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ। রিজাভর্ ব্যাংকের গভনের্রর পদত্যাগ সেই বিতকর্ উসকে দিয়েছিল অনেকটাই। তালিকায় ছিল সিবিআই-ও। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মোদি আমলে সিবিআইকে ‘খঁাচাবন্দি তোতাপাখি’তে পরিণত করা হয়েছে। নীতি আয়োগ, রিজাভর্ ব্যাংক, সিবিআই’র পর সেই তালিকায় সবের্শষ সংযোজন হলো জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশন বা এনএসসি, এই অভিযোগ তুলতে দেরি করেনি বিরোধীরা। এদিকে, বেকারত্ব নিয়ে এরই মধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলো। এই রিপোটর্ সামনে আসার পরই টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে তার কটাক্ষ, ‘ফুয়েরার আমাদের দুই কোটি কমর্সংস্থানের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। ফঁাস হওয়া এই রিপোটর্ জাতীয় বিপযের্য়র ঘটনা সামনে আনল।’ রাহুলের এই টুইটের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। রাহুলকে মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির কটাক্ষ, ‘উনি উত্তরাধিকার সূত্রেই মুসোলিনির মতো অদূরদশির্তা পেয়েছেন। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের তথ্য থেকেই স্পষ্ট, গত ১৫ মাসে কমর্সংস্থানের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।’