তথ্য মাকির্ন দূতের

পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করবে পিয়ংইয়ং

জ্জ ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠকের সময় ও স্থান নিধার্রণ

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেন
উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সব স্থাপনা ধ্বংসের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মাকির্ন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেন। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোনির্য়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া ভাষণে এ তথ্য দেন তিনি। বিগেন জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পিয়ংইয়ং সফরে তারা এ প্রতিশ্রæতি দেয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আগে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কমর্সূচি ‘সম্পূণর্ভাবে বুঝতে’ হবে। উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণে জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিতে পারে, সে বিষয়ে তিনি আলোচনার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানিয়েছেন বিগেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি ক্যালিফোনির্য়ার স্ট্যানফোডর্ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া ভাষণে মাকির্ন এই দূত বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়া দখল করতে যাচ্ছি না। আমরা তাদের শাসন কাঠামোরও পরিবতর্ন করতে চাচ্ছি না বলে জানান পঁাচ মাস আগে বিশেষ দূতের দায়িত্ব পাওয়া বিগেন। তিনি জানান, পম্পেওর সঙ্গে আলোচনার উত্তরের শীষর্ নেতা কিম জং-উন তাদের সব প্লুটোনিয়াম ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ধ্বংস ও ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক কমর্সূচির বিস্তারিত বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে এবং নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন না হওয়া পযর্ন্ত দেশটির ওপর মাকির্ন নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিগেন। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় কখনোই দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত ২৮ হাজার ৫০০ মাকির্ন সেনা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ আসেনি বলেও জানিয়েছেন এ মাকির্ন দূত। কিম কখনোই তার পারমাণবিক অস্ত্র পুরোপুরি ত্যাগ করবেন না, মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মাকির্ন গোয়েন্দাপ্রধানরা এ ধরনের আশঙ্কার কথা জানানোর দুইদিন পর বিগেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রæতির বিষয়টি উন্মোচন করলেন। গোয়েন্দাপ্রধানদের ওই মূল্যায়নের কড়া সমালোচনা এসেছে মাকির্ন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকেও; যিনি ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং সম্পকের্র ‘অসাধারণ উন্নতি’ হয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছিলেন। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে কিম-ট্রাম্প ঐতিহাসিক বৈঠকের পর মাকির্ন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়া আর ‘পারমাণবিক হুমকি’ নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। ট্রাম্প-কিম বৈঠকের সময়-স্থান নিধার্রণ চলতি মাসের শেষদিকে অনুষ্ঠেয় ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীষর্ বৈঠকের সময় ও স্থান নিধার্রণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই, উত্তর কোরিয়ার কাছে তাদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কমর্সূচির পূণার্ঙ্গ তালিকা চেয়েছেন মাকির্ন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেন। ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যথর্ হলে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি দেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পকোর্ন্নয়নে অভ‚তপূবর্ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীষর্ বৈঠকের জন্য উত্তর কোরিয়া ব্যাকুল। পিয়ংইয়ং সত্যিকার অথের্ই ভালো কিছু করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকের স্থান ও সময় নিধার্রণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আমার আগের প্রশাসনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার খুবই খারাপ সম্পকর্ ছিল। আমি ক্ষমতায় আসার পর সবাই মনে করেছিল, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বো। কেউ কেউ তো বলেছেও, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে। কিন্তু, আমি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। তাদের কথা শুনেছি। এখন তাদের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পকর্ বিরাজ করছে।’ এদিন, মাকির্ন গোয়েন্দা সংস্থার কমর্কতাের্দর সঙ্গেও উত্তর কোরিয়া বিষয়ে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এর আগে মঙ্গলবার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়- উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করবে না, অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাও ত্যাগ করবে না। এরপরই ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। কিন্তু আলোচনার পর টুইট বাতার্য় ট্রাম্প বলেন, গণমাধ্যম গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও অন্যান্য বিষয়ে গোয়েন্দা মূল্যায়নে তিনি একমত বলেও জানান। এদিকে ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীষর্ বৈঠক থেকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে গুরুত্বপূণর্ সিদ্ধান্ত আসবে বলে মত মাকির্ন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেনের। উত্তর কোরিয়ার কাছে তাদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কমর্সূচির পূণার্ঙ্গ তালিকাও চেয়েছেন তিনি।