এক প্রান্তে ঠাÐায় মরছে মানুষ আরেক প্রান্তে পুড়ছে বন

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বিশ্বের দুই মেরুতে থাকা দুটি দেশের আবহাওয়ায় সম্পূণর্ বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। উত্তর মেরুর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে তাপমাত্রার পারদ শূন্য থেকে ৪০ ডিগ্রিরও বেশি নিচে নেমেছে। আর দক্ষিণ মেরুর দেশ অস্ট্রেলিয়াতে পারদ চড়েছে ৪০ ডিগ্রিরও ওপরে। সংবাদসূত্র : সিএনএন, গাডির্য়ান গত বুধবার থেকে তীব্র শীতে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চল। কয়েকটি রাজ্যে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিনেসোটার কটন শহর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীতলতম এলাকা। এই দিন শহরটির তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগোতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস , যা ১৯৮৫ সালের তাপমাত্রার রেকডের্ক ভঙ্গ করেছে। রকফোডর্, ইলিনয় ও শিকাগোর পশ্চিমে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সবির্নম্ন তাপমাত্রার রেকডর্। মিডওয়েস্ট ও গ্রেট লেকসে ঠাÐা বাতাসের ঝাপটার কারণে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং মাইনাস ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভ‚ত হয়েছে। মাত্র পঁাচ মিনিটে যে কেউ জমে বরফ হয়ে যাওয়ার জন্য এই তাপমাত্রা যথেষ্ট। আগামী সোমবার পযর্ন্ত তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস ছিল দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ১৯১০ সালের পর দেশটির তাপমাত্রার রেকডর্ প্রথমবারের মতো ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গত মাসে বিস্তৃত দাবদাহ ও দৈনন্দিন চরমভাবাপন্ন আবাহওয়া ছিল ‘অভ‚তপূবর্’। গত ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণের শহর অ্যাডিলেডে তাপমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের কমর্কতার্ অ্যান্ড্রিউ ওয়াটকিনস জানিয়েছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের বরোনাতে এক রাতের তাপমাত্রা রেকডর্ করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।