কাবুল সরকার দেশের ওপর ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে

চুক্তি হলে মাকির্ন সেনা ফিরিয়ে নেবেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আফগানিস্তানে সক্রিয় তালেবান
আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জোর বিমান হামলা এবং তালেবানের সঙ্গে মাকির্ন আলোচনা সত্তে¡ও কাবুল সরকার ক্রমেই দেশটির বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মাকির্ন সরকারের এক পযের্বক্ষণকারী সংস্থা একথা জানিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তালেবানকে অবিলম্বে ১৭ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধের ইতি টানতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, সংলাপে কোনো ‘চুক্তি’তে পেঁৗছা সম্ভব হলে আফগানিস্তান থেকে মাকির্ন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সংবাদসূত্র : এএফপি অনলাইন, রয়টাসর্ মাকির্ন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো মিশন ‘রেসোল্যুট সাপোটর্’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবরে কাবুল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে মাত্র ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ আফগান নাগরিক বাস করছে। আগের প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকন্সট্রাকশন’ (এসআইজিএআর) জানায়, আফগানিস্তানের অঞ্চলগুলোতে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব হ্রাস পেয়েছে। তিনি তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। এসআইজিএআর জানায়, আফগানিস্তানের ৪০৭টি জেলা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফগান বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাবুলের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের সংখ্যা এখনো হ্রাস পাচ্ছে। এসআইজিএআর-এর প্রতিবেদনের জবাবে পেন্টাগন জানায়, আফগানিস্তান ও যুক্তরাস্ট্রের সুবিধাজনক শতের্র ভিত্তিতে আফগান যুদ্ধের ইতি টানাই এখন প্রধান লক্ষ্য। কমর্কতার্রা তালেবান ও মাকির্ন বিশেষ দূত জালমাই খালিলজাদের মধ্যে চলমান বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। তিনি এই সপ্তাহে শান্তিচুক্তির রূপরেখা তৈরি করেন। মাকির্ন সেনা ফিরিয়ে নেবেন ট্রাম্প এদিকে, মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তালেবানের সঙ্গে তার প্রশাসনের চলমান সংলাপে কোনো ‘চুক্তি’তে পেঁৗছানো সম্ভব হলে আফগানিস্তান থেকে মাকির্ন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, তালেবান প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং একটি চুক্তিতে পেঁৗছার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদি চুক্তি করা সম্ভব হয় তাহলে মাকির্ন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন প্রথমবারের মতো তালেবানের সঙ্গে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে এবং এর পেছনে কারণও আছে। এখন পযর্ন্ত আলোচনা সন্তোষজনকভাবে এগিয়েছে বলেও মাকির্ন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন। গত শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও মাকির্ন প্রতিনিধিরা তাদের ছয় দিনব্যাপী সংলাপ শেষ করেন। আফগান সরকার বলেছে, মাকির্ন কতর্কতার্রা তাদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা। এদিকে, তালেবান সূত্র বলেছে, দোহা সংলাপে দুই পক্ষ একটি শান্তিচুক্তির খসড়া প্রণয়নে সম্মত হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তালেবান দাবি করেছে। কিন্তু মাকির্ন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পরে সেনা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নিধার্রণের কথা অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসলেও আফগান সরকারের সঙ্গে সংলাপে অনীহা প্রকাশ করেছে।