রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যেই মিয়ানমার সফরে মুন

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন
দেশজুড়ে যখন রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে, তখন মিয়ানমার সফরে গেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। তার এই সফরের আগে মিয়ানমারের মিডিয়া কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে সোমবার রাষ্ট্র পরিচালিত 'গেস্নাবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার' রিপোর্টে বলেছে, রোববার সন্ধ্যায় বিমানযোগে রাজধানী নেইপিডতে পৌঁছান বান কি মুন ও তার টিম। সংবাদসূত্র : টিআরটি, রয়টার্স মুন সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপমন্ত্রীদের সঙ্গে। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশনে প্রচারিত বুলেটিনে দেখা যায়, বান কি মুন বিমানবন্দরে পৌঁছে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি অভু্যত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জান্তা। এরপর থেকে সেখানে সৃষ্ট সংকট সমাধানের জন্য কূটনৈতিক যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অচলাবস্থায় আছে। কারণ, ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমনপীড়নের যে আন্তর্জাতিক সমালোচনা, তা প্রত্যাখ্যান করেছে জান্তা। তারা বিরোধীদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা প্রতিষ্ঠিত বিশ্বনেতাদের 'দ্য এলডার্স' গ্রম্নপের একজন সদস্য বান কি মুন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সফর করেছেন তিনি। এ সময় তিনি সেখানকার জেনারেলদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় আলোচনায় সফল হয়েছেন। ২০০৯ সালে তার সফরের সময় তৎকালীন সামরিক জান্তা থান শয়ে'র ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে জেল থেকে মুক্তি পান সু চি। তিনি হয়ে ওঠেন মিয়ানমারের মূল বেসামরিক নেত্রী। সু চিকে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের কথা জানান দিতে তিনি ২০১৬ সালে আবার মিয়ানমার সফরে যান। ২০২১ সালে সামরিক অভু্যত্থানে আবার সু চিকে আটক করা হয়। মিয়ানমার আবার টালমাটাল হয়ে ওঠে। দেশটির অর্থনীতি চলে যায় তলানিতে।