ফের অশান্ত মণিপুর, ঘরবাড়িতে আগুন, সংঘর্ষে একজন নিহত

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মণিপুরে সহিংসতায় জ্বলছে ঘরবাড়ি
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতা থামছেই না। সেখানে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক ব্যক্তি। এই ঘটনার জেরে নতুন করে কারফিউ জারি হয়েছে। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ পুলিশ জানিয়েছে, মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের সীমানা এলাকায় বুধবার জঙ্গিদের সঙ্গে একদল মানুষের সংঘর্ষ বেধে যায়। তাতেই একজনের মৃতু্য হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বিষ্ণুপুর জেলার একটি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর থেকেই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘরপোড়া মানুষ আশ্রয় নেয় মৈরাংয়ের শিবিরে। বুধবার শিবিরে খবর আসে, জঙ্গিরা গ্রামের একটি স্কুলে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের দিকে ছুটে যায় শিবিরের আশ্রয়প্রার্থীরা। পথেই সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মুখোমুখি হয় ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা। শুরু হয় সংঘর্ষ। বুধবার মণিপুরের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী তথা রাজ্যের অন্যতম বিজেপি নেতা কোনথৌজাম গোবিনদাসের বিষ্ণুপুরের বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয়দের একাংশ। তাদের অভিযোগ, সহিংসতা চলাকালে প্রশাসনের যে ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল, তা নেওয়া হয়নি। যদিও সেই সময় ওই বিজেপি নেতা বা তার পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। মণিপুরে কুকি বনাম মেইতেই সংঘর্ষের ঘটনায় এই প্রথম কোনো মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল। হামলার ঘটনার নেতৃত্বে ছিল এলাকার নারীরা। মেইতেই সম্প্রদায়ের তফশিলি উপজাতি তকমার দাবির বিরোধিতা করে গত ৩ মে মণিপুরে 'ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ' নামে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। গোলমালের শুরু সেখানেই। তারপর থেকেই তা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ হাজার সেনাকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে উত্তর-পূর্বের ছোট এই রাজ্যে। কিন্তু কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এদিকে, সহিংসতা কবলিত মণিপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা করেন, কয়েকদিনের মধ্যেই অশান্ত রাজ্যটিতে পা রাখবেন তিনি। মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনদিন সেখানে থাকবেন। রাজ্যবাসীর সঙ্গে কথা বলে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করবেন।