পুষ্পবৃষ্টি-¯েøাগানে রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক প্রিয়াঙ্কার

উত্তর প্রদেশে লাখো মানুষ নিয়ে রোড শো করে ঝড় তুললেন রাজীব তনয়া পরিচ্ছন্ন রাজনীতির বাতার্ দিয়েই এগোচ্ছেন

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রোড শোয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পাশে ভাই রাহুল গান্ধী
পরনে সবুজ-সাদা চেক কাটা হালকা রঙের সালোয়ার। গলায় জড়ানো ওড়নাটা সামনে ঝোলানো। ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষেèৗ বিমানবন্দরের বাইরে এলেন কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। পাশে ভাই রাহুল। মুহ‚তের্ যেন ¯েøাগানের ঝড় বয়ে গেল চৌধুরি চরণ সিং বিমানবন্দর চত্বরে। চার দিক থেকে ভেসে যাচ্ছে শঙ্খধ্বনিতে। উড়ে আসছে ফুলের পঁাপড়ি। এই ¯েøাগান আর পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটলো রাজীব-সোনিয়া তনয়া প্রিয়াঙ্কার। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, আউটলুক ইনডিয়া সোমবার লক্ষেèৗ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাসের ছাদে উঠে রোড শো শুরু করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাকে পূবর্ উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছে দল। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর সোমবারই প্রথম উত্তরপ্রদেশে যান প্রিয়াঙ্কা। এই রোড শো দিয়েই তিনি ঢুকে পড়লেন আগামী লোকসভা ভোটের ময়দানে। প্রিয়াঙ্কা যাবেন লক্ষেèৗয়ে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার রোড শো করবেন। রোববার রাত থেকেই তাই পুরো পথই মুড়ে ফেলা হয়েছিল ফ্লেক্স-ব্যানারে। যে পথে রোড শো করবেন প্রিয়াঙ্কা, সোমবার সকালে তিনি পেঁৗছনোর অনেক আগে থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে সেই সব রাস্তায়। কারও হাতে পোস্টার। কারও হাতে ফুল। কারও হাতে শঙ্খ। মহিলারা উলুধ্বনি দিচ্ছে। কংগ্রেসের কমীর্-সমথর্কদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও একটা উৎসবের আমেজ। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে বিশেষ একটি বাসের ছাদে উঠে পড়েন। সঙ্গে রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাজ বাব্বরসহ অনেকেই। শুরু করলেন রোড শো। নিরাপত্তার জন্য সাদা সেই বাসের ছাদটা ঘেরা ছিল রেলিং দিয়ে। সেই ঘেরোটোপের মধ্যে দঁাড়িয়ে কমীর্ সমথর্কদের দিকে হাত নাড়লেন প্রিয়াঙ্কা, কখনও জোড় হাতে প্রণাম জানালেন। বাকিরাও বাসের ছাদ থেকে হাত নাড়তে থাকেন। বিমানবন্দর থেকে প্রিয়াঙ্কার বাস বিভিন্ন পথ ঘুরে যায় কংগ্রেস দপ্তর ‘নেহরু ভবনে’। বাসের সামনে-পেছনে লাখ লাখ মানুষ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছে। জনতার ভিড় থেকে ছুড়ে দেয়া হয়েছে ¯েøাগান। চলেছে অবিরাম পুষ্পবৃষ্টি। বাসের সামনে গোলাপি জামা পরে এগিয়ে যায় ‘প্রিয়ঙ্কা সেনা’র ৫০০ সদস্য। তাদের জামায় প্রিয়াঙ্কার ছবি, হিন্দিতে লেখা, ‘দেশের সম্মানে প্রিয়াঙ্কাজি ময়দানে, মন দেব, সম্মান দেব, প্রয়োজনে দেব জীবনও’। গত রোববার কংগ্রেস কমীর্-সমথর্কদের উদ্দেশে একটি অডিও বাতার্য় নতুন রাজনীতি শুরু করার ডাক দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ওই বাতার্য় তিনি বলেন, ‘নমস্কার আমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। আগামীকাল (সোমবার) লক্ষেèৗ যাচ্ছি। সবাই মিলে এক নতুন রাজনীতি সূচনা করব আমরা। এমন এক রাজনীতি, যেখানে আপনিও হবেন তার অংশীদার। আমার যুব বন্ধুরা, আমার বোনেরা এবং সবচেয়ে দুবর্ল মানুষÑ এখানে সবার কথা শোনা হবে।’ এদিকে এদিন রোড শো থেকেও রাফায়েল যুদ্ধবিমান ইস্যুতে আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রোড শো চলাকালীনই দেখা যায়, কংগ্রেস সভাপতি একটি রাফায়েলর রেপ্লিকা নিয়ে কমীের্দর দেখাচ্ছেন। ইঙ্গিত স্পষ্ট, আগামী নিবার্চনে রাফায়েলই অন্যতম একটি ইস্যু হতে যাচ্ছে কংগ্রেসের। প্রিয়াঙ্কা অবশ্য আপাতত পরিচ্ছন্ন রাজনীতির বাতার্ দিয়েই এগোচ্ছেন। রোড শো’র একদিন আগেও সেই বাতার্ দিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে সরাসরি আসুক, কংগ্রেস নেতাকমীের্দর এমন দাবি ছিল অনেকদিন ধরে। ফলে উত্তরপ্রদেশে সোমবারের রোড শোয়ের পর সঙ্গত কারণে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কংগ্রেসের নেতাকমীর্রা।