রাফায়েল যুদ্ধবিমান ইস্যু

দালালের ভ‚মিকায় ছিলেন মোদি, তোপ রাহুলের

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফঁাস হওয়া ই-মেইলের কপি হতে রাহুল গান্ধী Ñআউটলুক ইনডিয়া
বহুল আলোচিত ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান দুনীির্ততে এতদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘চোর’ উল্লেখ করতেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবার তাকে ‘দালাল’ বলতেও ছাড়লেন না। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাফায়েল দুনীির্ত কোনো সাধারণ বিষয় নয়, বরং দেশদ্রোহের সমান। সংবাদ সম্মেলনের আগে মঙ্গলবার সকালে টুইট করে তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-যুব থেকে শুরু করে বাকিরা জেনে রাখুন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের টাকা চুরি করে অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী একটি মেইল বাতার্ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও পরে সেটি জনম্মুখে উপস্থাপন করেন। বিমান নিমার্ণ সংস্থা ‘এয়ারবাস’র এক কমর্কতার্র মেইল আইডি থেকে ২০১৫ সালের ১৮ মাচর্ বাতাির্ট পাঠানো হয়েছিল। এতে ওই কমর্কতার্ বলেন, ‘এক সহযোগী মারফত ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনিল আম্বানির গোপন সাক্ষাতের কথা জানতে পেরেছেন তিনি। বাণিজ্যিক এবং প্রতিরক্ষা বিমান নিমাের্ণ কাজ করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন আম্বানি। খুব শিগগিরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্স সফরে আসবেন। তখন দুই দেশের মধ্যে সেই-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।’ ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির ফ্রান্স সফরের দুই সপ্তাহ আগে তৎকালীন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী-ইভস লে দ্রিয়ানের প্যারিস দপ্তরে হাজির হন অনিল আম্বানি। ইভস লে দ্রিয়ানের উপদেষ্টা জঁ ক্লঁ মলেতও হাজির ছিলেন সেখানে। বৈঠকে হাজির ছিলেন সাবেক ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শিল্প-বিষয়ক উপদেষ্টা ক্রিস্তফ সলোমন, প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা জিওফ্রে বুকোতও। একরকম তাড়াহুড়া করে বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল বলে পরবতীর্ সময় এয়ারবাস সংস্থার এক কমর্কতাের্ক জানান সলোমন। সেই পরিপ্র্রেক্ষিতেই মেইল বাতাির্ট লেখা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এসেছে। তাই নিয়েই ফের ঝঁাপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। ওই চিঠিকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনোরকম আপস করা চলে না তার। কিন্তু সে সবের ধার ধারেননি তিনি। বরং চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার আগেই প্রতিরক্ষা চুক্তির গোপন তথ্য অনিল আম্বানির হাতে তুলে দিয়েছেন। রাফায়েল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী আম্বানিদের দালালের ভ‚মিকা পালন করেছেন। গুপ্তচররা এ ধরনের আচরণ করে। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব জানলেন না, অথচ চুক্তির খঁুটিনাটি জেনে গেলেন অনিল আম্বানি। প্রধানমন্ত্রীকে এর জবাব দিতেই হবে। আসন্ন লোকসভা নিবার্চনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাফায়েল দুনীির্তর তদন্ত হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান রাহুল।