গোপন নথির মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প, গ্রেপ্তার হতে পারেন

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি ব্যবহারের মামলায় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত অভিযোগের বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে একাধিক ধারায় অভিযুক্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অন্তত সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে। এমনকি তিনি গ্রেপ্তারও হতে পারেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি ২০২৪ সালে আবারও রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগ গঠন করা হলো। ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে তার বিচার শুরু হবে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ গঠন করা হলো এবং সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ফেডারেল অভিযোগ। নিজের সোস্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম ট্রুথ সোস্যালে দেওয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং গত মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাকে তলব করা হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, 'আমি কখনোই ভাবিনি যে, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।' তিনি আরও বলেছেন : 'এটি সত্যিই আমেরিকার জন্য একটি অন্ধকার দিন। দেশ হিসেবে আমরা গুরুতরভাবে এবং দ্রম্নত পতনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু একসঙ্গে আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব (মেক অ্যামেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন)!' ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি গোপন নথির মামলার সঙ্গে যুক্ত এবং সেখানে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মার্কিন মিডিয়া বলেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য কেবল একটি অভিযাগ থাকলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধের বিচার করা যায়। মার্কিন বিচার বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। এর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই ঘটনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন। আগামী বছর নিউইয়র্কে এ মামলায় তার বিচার হবে।