দেয়ালের বরাদ্দে ‘অখুশি’ ট্রাম্প চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা

মাদুরোর পদত্যাগের দাবিতে বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অচলাবস্থা’ এড়াতে কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে পারেনি। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণ পযার্প্ত অথর্ বরাদ্দ না পাওয়ায় বাজেট বিলে স্বাক্ষর করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বলে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান তিনি Ñরয়টাসর্
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার ‘অচলাবস্থা’ এড়াতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের চুক্তি মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে পারেনি। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণ পযার্প্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় বাজেট বিলে স্বাক্ষর করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বলে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। সংবাদসূত্র: রয়টাসর্ সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণ চলতি বছরই ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ চেয়েছিলেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটরা দাবি অগ্রাহ্য করলে ট্রাম্প গত বছরের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের এক-চতুথার্ংশ বিভাগ ও সংস্থার ব্যয় নিবাের্হর বাজেট বিলে স্বাক্ষর করেননি। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে টানা ৩৫ দিন প্রায় ৮ লাখ মাকির্ন সরকারি কমর্কতার্-কমর্চারী বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটান। জানুয়ারির শেষ দিকে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে ‘আপাত সমঝোতায়’ তিন সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বন্ধ থাকা বিভাগ ও সংস্থাগুলো খুলে দেয়া হয়। সরকারের সব বিভাগ ও সেবা চালু রাখতে নতুন বাজেট পাসে কংগ্রেসের হাতে আগামী শুক্রবার পযর্ন্ত সময় আছে। অচলাবস্থা এড়াতে ধারাবাহিক আলোচনার পর গত সোমবার রাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত খরচের নতুন একটি বাজেট বিল নিয়ে ঐকমত্যে পেঁৗছান। এ বিলে মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ১৩৭ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার আগে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিলটি পাস হতে হবে। ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর না করলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের অচলাবস্থায় পড়তে হবে। আমাকে পড়ে দেখতে হবে। আমি খুশি নই, বলেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প ‘অখুশি’ হলেও বেশিরভাগ রিপাবলিকান সাংসদ সমঝোতার বাজেট বিলে প্রেসিডেন্টকে স্বাক্ষর করার আহŸান জানিয়েছেন। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, তিনি নতুন করে অচলাবস্থা চান না। দেয়াল নিমাের্ণর জন্য কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বেশি আগ্রহের কথাও লুকোননি তিনি। এ নিয়ে রিপাবলিকান সিনেটর রিচাডর্ শেলবির সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের কমর্কতার্রা বলছেন, বাজেট বিলে স্বাক্ষর করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট অন্য খাতে দেয়া বরাদ্দ দেয়াল নিমাের্ণ স্থানান্তর করা যায় কিনা তাও বিবেচনা করে দেখছেন। এ ধরনের কিছু করতে হলেও তাকে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। ট্রাম্পের মতো রিপাবলিকানদের রক্ষণশীল অংশও চুক্তি নিয়ে ‘নাখোশ’। সত্যিকার অথের্ বেশিরভাগ রক্ষণশীল সদস্যই মমার্হত। বলে দিতে পারি, আপনি ক্যাপিটল হিলের চারপাশে হেঁটে বেড়ানো ডেমোক্র্যাটদের মুখে হাসি দেখতে পাবেন, রিপাবলিকানদের নয়, গণমাধ্যমকে এমনটাই বলেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাকর্ মিডোস। যদিও তার দলের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই ট্রাম্পকে আপাতত ‘ছাড় দেয়ার’ আহŸান জানিয়েছেন। তিনি (চুক্তিতে) স্বাক্ষর করবেন বলেই আশা করছি, বলেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেল ও প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকক্যাথির্। মাকির্ন অথর্বছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তার আগেই বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমঝোতার অভাবে কখনো কখনো মাকির্ন কংগ্রেস তা পাস করাতে ব্যথর্ হয়। এমন অবস্থায় অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনার তহবিল জোগান দেয়া হয়। অস্থায়ী এই বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে দুই কক্ষের অনুমোদনসহ প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তিন-চতুথার্ংশ কাযর্ক্রম পরিচালনার অথর্ বরাদ্দ করা আছে। বাকি এক-চতুথার্ংশের বাজেট বরাদ্দ না হওয়ায় গত ডিসেম্বরে আংশিক অচলাবস্থার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নিমাের্ণর বরাদ্দ প্রশ্নে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় ওই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।