আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি, নিহতের রেকডর্

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বছরের অধের্ক পার না হতেই আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা নতুন রেকডের্ পেঁৗছেছে। তালেবানের সঙ্গে গত মাসের যুদ্ধবিরতি সত্তে¡ও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসচালিত আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে। রোববার এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে এক হাজার ৬৯২ জন বেসামরিকের মৃত্যু রেকডর্ করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টাসর্ ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ’ অভিযানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের লড়াই শুরু হলেও জাতিসংঘ মৃত্যুর ঘটনার রেকডর্ রাখা শুরু করেছে ২০০৯ সাল থেকে। রেকডর্ রাখার পর থেকে বছরের প্রথম ছয় মাসে এটিই সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মৃত্যুর ঘটনা। তালেবান ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকার করা সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে পুরো আফগানিস্তানজুড়ে বহু লোকের মৃত্যু হয়। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহযোগী মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্ট মিশন ইন আফগানিস্তান’র (ইউএনএএমএ) বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বছরের অধের্ক হিসাবে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এক শতাংশ। চলতি বছর মোট বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এক হাজার ৬৯২ জন। তবে আহতের সংখ্যা কমেছে পঁাচ শতাংশ। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৪৩০ জন। সব মিলিয়ে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হার কমেছে তিন শতাংশ। এসব বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ৫২ শতাংশের জন্য দায়ী করা হয়েছে, আইএস ও তালেবানের নানা ধরনের হামলাগুলোকে। গত মাসে প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তালেবান তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও সাম্প্রতিক সংঘষর্ ও আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা দ্রæতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে কাবুল ও জালালাবাদে ওই ধরনের হামলা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া, দেশটিতে আইএসের তৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নানগারহারে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা, গাড়িবোমা হামলা, আত্মঘাতী হামলা, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘষর্ এবং অন্যান্য জটিল হামলার কারণেই দেশটিতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিয়া মসজিদ, সরকারি কাযার্লয়, দাতব্য সংস্থা এবং ভোটার নিবন্ধনকেন্দ্রে হামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।