পাকিস্তান আর সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ নয় :ঘোষণা ভারতের

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দাবি উঠেছিল দীঘির্দন ধরেই। অবশেষে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে বাণিজ্যিক দিক থেকে একঘরে করার প্রক্রিয়া শুরু করল ভারত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তানকে দেয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) বা সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের তকমা শুক্রবার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ভারত। এর ফলে বাণিজ্যিক ভাবে ভারতের কাছ থেকে কাযর্ত সব রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, দিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সোহেল মেহমুদকে ডেকে পাঠায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারপর বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, পাকিস্তানকে যে এমএফএন মযার্দা দেয়া হয়েছিল, সেটা তুলে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জয়েশ জঙ্গিদের হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। তাই বিশ্বের কাছে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে সব রকম চেষ্টা করবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’ এমএফএন স্টেটাস কী? ওয়াল্ডর্ ট্রেড অগার্নাইজেশনের (ডাবিøউটিও) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তজাির্তক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো দেশ অন্য একটি দেশকে এই এমএফএন স্টেটাস দিতে পারে। এর ফলে বৈষম্যহীন বাণিজ্যের সব রকম সুযোগ পায় এমএফএন স্টেটাসপ্রাপ্ত দেশটি। এমএফএন স্টেটাসপ্রাপ্ত দেশকে বৈদেশিক বাণিজ্যে ছাড়, অতিরিক্ত কিছু সুবিধা, শুল্ক হ্রাস ইত্যাদি সুযোগ দিতে হয়। ‘জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফস’ বা গ্যাট চুক্তির প্রথম ধারাতেই এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ডাবিøউটিওর সদস্য দেশ হিসেবে অন্য দেশগুলো আন্তজাির্তক বাণিজ্যের যে সুযোগ-সুবিধা পায়, সেগুলোও পেয়ে থাকে এই এমএফএন স্টেটাস প্রাপ্ত দেশ। কিন্তু একটি দেশ কোনো দেশকে এই স্টেটাস দিলে সেই দেশকেও ওই এমএফএন স্টেটাস দিতেই হবে এমন নয়। তারা পাল্টা এমএফএন নাও দিতে পারে। আর পাকিস্তান ঠিক সেটাই করেছে। ১৯৯৫ সালে ডাবিøউটিও গঠিত হওয়ার পরের বছরই দিল্লি এমএফএন স্টেটাস দিলেও ইসলামাবাদ ভারতকে সেটা দেয়নি। বহুবার এ নিয়ে দাবি উঠলেও পাকিস্তান বরাবরই ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তা অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ভারতের মধ্যেও বিভিন্ন সময় পাকিস্তানকে দেয়া এই এমএফএন তুলে নেয়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু ভারতও এত দিন তাতে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি, কাশ্মিরের উরিতে জঙ্গি হামলার পরও নয়। কিন্তু পুলওয়ামা হামলার পর সেই স্টেটাসই এবার তুলে নিল ভারত। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ইসলামাবাদ। তবে ক‚টনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এর জেরে বাড়তে পারে চোরাচালান ও অবৈধ বাণিজ্য।